ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানির পশু কাটতে গিয়ে শতাধিক আহত

আজ ঈদের দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্নভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন শতাধিক ব্যক্তি। এদের মধ্যে ১০ জনকে ভর্তি করে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোরবানির পশু জবাই করাসহ মাংস কাটতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে তারা আহত হন।

আজ বুধবার (২১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রার বই (রোগীর তথ্যবই) থেকে এই পরিসংখ্যান জানা গেছে।

আহতদের মধ্যে কারো অবস্থা গুরুতর নয়। বেশিরভাগেরই হাত-পায়ে আহত হয়েছেন। সকলকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার পবিত্র ঈদুল আযহার দিন জেলা সদরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অসংখ্য কোরবানির পশু জবাই করা হয়। এসব পশু জবাই ও পশুর মাংস কাটায়য় অংশ নেন পেশাদারের পাশাপাশি মৌসুমী কসাই ও পরিবারের সদস্যরা। এ কাজে অনেকের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় নানা রকমের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। জবাই ও মাংস কাটতে গিয়ে আহত এমন শতাধিক ব্যক্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে অন্তত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়েছে। তবে তাদের কারো অবস্থাই গুরুতর নয় বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেছেন।

আহতদের মধ্যে জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকার মোস্তাক আহমেদ জানান, পায়ের নিচে মাংস রেখে কাটার সময় আমার পায়ে কোপ পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার পায়ে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

kalerkantho

সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামের আহত নয়ন জানান, সকালে কোরবানি দেয়ার পর গরুর মাংস কাটার সময় অসাবধানতা বসত তাঁর হাতে ছুরি লেগে অনেকাংশ কেটে রক্ত বের হতে থাকে। সদর হাসপাতালে এসে ব্যান্ডেজ করার পর রক্ত বন্ধ হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রাজীব জানান, সকালে কোরবানির পশু মহিষ জবাই করার সময় সেটির বাঁধ ছিড়ে তাঁর উপর ছিটকে পড়ে। এতে তার হাত, মুখ ও শরিরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হন।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ধীমান দেবনাথ জানান, সকাল থেকে দুপুর দুটা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরা সবাই কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জন গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ