বেসরকারিভাবে জয়ী আইভী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।

 

১৭৪টি কেন্দ্রে সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭০০ ভোট। সাখাওয়াত হোসেন খানের চেয়ে ৭৭ হাজার ৯০২ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
 

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়।

 

নির্বাচনে তেমন কোনো অপ্রীতিকর বা সহিংস ঘটনার খবর মেলেনি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৭৪টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩০৪। সব কটি ভোটকেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ৩২২। এর মধ্যে দুজন বিদেশি পর্যবেক্ষক রয়েছেন বলে কমিশন থেকে জানা গেছে। দেশি ১৬টি সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।

 

দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ২০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়র পদে লড়াই করেন সাতজন। যদিও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রার্থী কামাল প্রধান ও কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান। অন্য তিন প্রার্থী হলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাহবুবুর রহমান ইসমাইল (কোদাল), ইসলামী আন্দোলনের মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা) ও ইসলামী ঐক্যজোটের ইজহারুল হক (মিনার)। ২৭ ওয়ার্ডে ২৭টি কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১৫৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৯টি পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে প্রথম ভোট হয় ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর। নির্দলীয় ওই নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভী ১ লাখ ৮০ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ও বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান পেয়েছিলেন ৭৮ হাজার ভোট। বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী ভোটের সাত ঘণ্টা আগে সরে দাঁড়ান।

সূত্র: রাইজিংবিডি ও প্রথম আলো