বেশির ভাগ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত পরীক্ষার পক্ষে

করোনার প্রাদুর্ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গত বছর তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে এসএসসি ও এইচএসসি নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। কিন্তু এ বছর বেশির ভাগ বিষয়েই পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা। তবে সেই পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৫০ নম্বরের হতে পারে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়।

সেই সভায় আগামী মে থেকে এসএসসি ও জুলাই থেকে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় সেই প্রস্তাব অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আন্ত শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, সভায় তিন ঘণ্টার পরীক্ষা দেড় ঘণ্টায় এবং পূর্ণমান ১০০-এর পরিবর্তে ৫০ নম্বরে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং আইসিটি বিষয় বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষা হতে পারে।

গত বছর এসএসসি-এইচএসসিতে টেস্ট বা নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া না হলেও এ বছর চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে নির্বাচনী পরীক্ষা হতে পারে। আর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচি (এসএসসি পর্যায়ে ১৫০ দিনের এবং এইচএসসি পর্যায়ে ১৮০ দিনের) অনুযায়ী এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

করোনার কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর গত বছর তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে অর্থাৎ বিভাগভিত্তিক বিষয়ের যেকোনো তিনটি বিষয়ে এসএসসিতে তিন পত্র এবং এইচএসসিতে ছয় পত্রের পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু ইংরেজি ও গণিতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরীক্ষা না নেওয়ায় গত বছরের এসএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ ৫ অনেক বেড়ে যায়, যা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়। এ ছাড়া অসম্পূর্ণ শিক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠছে বলে মত দেন শিক্ষাবিদরা।

সভা সূত্রে জানা যায়, যখন এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে তখন করোনার প্রাদুর্ভাব থাকার সম্ভাবনা কম। তাই তিনটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা নিলে ফের সমালোচনা হতে পারে বলে জানান বোর্ড চেয়ারম্যানরা। সে লক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হলেও বেশির ভাগ বিষয়েই পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দেন তাঁরা। যাতে সম্মতি দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতনরাও। এ ছাড়া পরীক্ষার আগে যে কয় দিন পাওয়া যায় সে সময়ে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি বাদে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতিদিনই সরাসরি ক্লাসে আনার ব্যাপারে প্রস্তাব আসে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ