সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাঁর ব্যক্তিজীবনে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। গত সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে বলেন, ‘সবসময় আপনাদের কাছে আমার কিছু ঋণ আছে। কারণ আমি যখন গৃহহীন, বেকার এবং রাষ্ট্রহীন ছিলাম, তখন যুক্তরাষ্ট্রই আমাকে একটি বাড়ি এবং একটি চাকরি দিয়েছে। আমি এর জন্য কৃতজ্ঞ।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ‘সব দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ, ছয় কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। আমি মনে করি, টিকা গ্রহণের দিক থেকে বাংলাদেশ এক নম্বরে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি তিন কোটি ১০ লাখ ডলার সহায়তা দিয়েছে। ’
রোহিঙ্গা নিপীড়নকে জেনোসাইড হিসেবে ঘোষণা করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের খারাপ সময়ে এবং আমাদের ভালো সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই বাংলাদেশের বন্ধু ছিল। আমরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। ’
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ সত্যিই অনেক অর্জন করেছে। আমরা একটি তলাবিহীন ঝুড়ি হিসাবে পরিচিত ছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতি, সুযোগের দেশ হিসেবে পরিচিতি হয়েছে। ’
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মহান অংশীদার ও বন্ধু। বাংলাদেশে বিনিয়োগ সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের। সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে জ্বালানি খাতে। হয়তো এর বাইরে তাকানোর সময় এসেছে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ