বৃষ্টি হলেই মরণফাঁদ কাটাখালি-দুর্গাপুর রাস্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সামান্য বৃষ্টি হলেই যেন মরণফাঁদে পরিণত হয় রাজশাহীর কাটাখালি থেকে দুর্গাপুর যাওয়ার রাস্তা। প্রতিবার সংস্কারের নামে ছাই স্বরুপ ইটের টুকরা ফেলে রাস্তার রুপ দেয়া হলেও কয়েক দিন যেতে না যেতের গর্তে পরিণত হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার গ্রামবাসি তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য রাজশাহী শহর কিংবা কাটা খালি আসতে চাইলেও ভাঙ্গা ‍ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে তাদের যাতায়াতের বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়। ঘটে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাটাখালি থেকে দুর্গাপুরের চৌপুখরিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এবং শিবপুর-দুর্গাপুর রাস্তার পালি থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটারের অবস্থা বেশি খারাপ। সামান্য বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় কোন যানবাহন তো দূরের কথা মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরাও ব্যহত হয়। ক্রমেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে রাস্তাটি।  এনিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিক বার বলা হলেও স্থায়ী কোন সুরাহা হয়নি।

পুঠিয়ার মহেন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, কাটাখালি-দুর্গাপুর ২০ কিলোমিটার রাস্তার ১৫ কিলোমিটারই ভাঙা। রাস্তাটি গত বছরই সংস্কার করা হলে কয়েক দিন পরই খারাপ হয়ে যায়।

রাস্তাটি অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় রোগীদের হাসপাতালে নেয়ায় চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ভাল রাস্তা দিয়ে যেতে হলে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘপথ।বাধ্য হয়ে অনেককেই দুর্গাপুর এবং বানেশ্বর বাজার ঘুরে পৌছাতে হয় হাসপাতালে।

গত বর্ষায় রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়লে মহেন্দ্রা এলাকার মানুষ কয়েকটি অংশ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এরপর থেকে কোনো মতে যান চলাচলের অবস্থা হয় গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটিতে।

দুর্গাপুরের কুহাড় গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গনি বলেন, রাস্তাটির যেন বাপ-মা নেইই। কয়েক বছর পর পর নামেমাত্র সংস্কার করে লাখ লাখ টাকা লুটপাট করা হয়।

চলাচলের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে বেহালাবস্থা রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার ও স্থায়ী সমাধানের দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

স/শ