সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ দুই বান্ধবীর মধ্যে ফাতেমা-তুজ-জোহরার (বৃষ্টি) মরদেহ শনাক্ত করেছেন তার স্বজনরা। তবে বৃষ্টির সঙ্গে থাকা রেহনুমা তাবাসসুম (দোলা)’র সন্ধান মেলেনি সিআইডির ডিএনএ টেস্টে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে ডিএনএ টেস্টে ১৯টি মরদেহের মধ্যে ১১ জনকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে ফাতেমা-তুজ-জোহরা ও নাসরিন জাহান নামে দুইজন নারী এবং ৯ জন পুরুষের মরদেহ পাওয়া যায়।
পরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ১১ মরদেহ শনাক্তের বিষয়টি জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মোহাম্মদ রেজাউল হায়দার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে দুই নারীর পরিচয় মিলেছে তারা নিখোঁজ দুই বান্ধবী কিনা সেটি বলতে পারব না। তবে দাবিদার পরিবার যে নাম দিয়েছে সেই নাম আমরা প্রকাশ করেছি।
বৃষ্টির বাবা জসিম উদ্দিন সিআইডির ব্রিফিং শেষে জানান, আদরের সন্তান বৃষ্টির ক্ষতবিক্ষত লাশ ফিরে পেতে প্রয়োজনীয় কাজগপত্র নিয়ে তারা অপেক্ষা করছেন। সকালে সিআইডির কার্যালয় থেকে ফোন করে বৃষ্টির বাবাকে ডাকা হয়।
তিনি জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি আগুন লাগার আগেই বৃষ্টি তার বান্ধবী দোলাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হয়েছিল। এরপর তাকে আর পাওয়া যায়নি। তবে কয়েকদিন পর ভিডিও ফুটেজে তাদের দুজনকে রিকশায় দেখা যায়। এরপর বিস্ফোরণ ঘটে। সিআইডির ডিএনএ টেস্টে আদরের সন্তান বৃষ্টির মরদেহ শনাক্তের কথা জানানো হয়। তবে বান্ধবী দোলার মরদেহ এখনো মেলেনি।
তিনি বলেন, মেয়ের শেষ নিশানাটুকু আজিমপুর কবরস্থানেই দাফন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জন পুড়ে মারা যায়। পরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭১ জনে।