বুধবার শুরু হচ্ছে রামেক হাসপাতালে করোনা রোগীদের পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পিসিআর মেশিন এসেছে। রিএজেন্ট নিয়ে সোমবার টেস্ট হবে। আশা করা হচ্ছে বুধবার থেকে ল্যাবে করোনাভাইরাস সনাক্তের জন্য টেস্ট শুরু করা যাবে। ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. সাবেরা গুলনেহারকে ল্যাবের প্রধান করে চিকিৎসক, নার্সসহ ৩০ সদস্যের টেকনিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের অনলাইনে ট্রেনিং চলছে। এছাড়া ল্যাব স্থাপনর জন্য যারা (টেকনিশিয়ান ও ইঞ্জিনিয়ার) ঢাকা থেকে আসছেন তারাও হাতে কলমে ট্রেনিং দিবেন।

ল্যাব সেটাপের জন্য রাজশাহীতে আসা প্রকৌশলী দলের দেয়া তথ্য মতে, প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৭টি করোনা রোগের টেস্ট সম্ভব হবে। প্রতিটি রিপোর্ট তৈরি করতে সময় লাগবে গড়ে ৮ থেকে ১২ ঘন্ট। রবিবার দুপুরে রামেক হাসপাতালের কম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হাসপাতলের কর্তৃপক্ষ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক জামিরুল রহমান, উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস, রামেকের অধ্যক্ষ নওসাদ আলী, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান, ডা. আজিজুল হক আজাদ, সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুল্লা সরকার। এসময় মিডিয়া প্যানিক সৃষ্টি না করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই (পার্সনাল প্রটেকটিভ ইকুইমপেন্ট) সরবরাহ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য অবজারভেশন ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। সেই ওয়ার্ড তত্ত্ববধানের জন্য ডা. আজিজুল হক আজাদের নেতৃত্বে একটি ইউনিট গঠন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সবাই মিলে বসে কর্মপন্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেই অনুসারে সম্মিলিতভাবে কাজ করা হচ্ছে। ইমারজেন্সি ও আউটডোরে আসা হাঁচি, কাশি ও সর্দি নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পৃথক করা হচ্ছে। করোনা সিনটোম ছাড়া শ্বাসকষ্টসহ সর্দি-জ্বরের রোগী হলে তাদেরকে ৩৯ ও ৪০ ওয়ার্ডে সিফট করা হচ্ছে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ফ্যসিলিটি (সুবিধা) তৈরি করা হচ্ছে। বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী ওয়ার্ড (৩০ নং ওয়ার্ড) ৩১ তারিখের মধ্যে সম্পূর্ণ খালি করা হবে। টেস্টের পর করোনা কনফার্ম কেসের রোগীদের সেখানে সিফট করে অবজারভেশনে রাখা হবে। যদি কোন রোগীর অবস্থা সিরিয়াস হয় তবে আইসিইউকেউ ধাপে ধাপে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এসময় জানান হয়, নওগাঁ থেকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আল আমিন নামের রোগীর কোনো করোনা সিনটম ছিলো না। তিনি মস্তিস্কে ভাইরাস জনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। প্রত্যেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের করোনার সিন্টম সম্পর্কে জানা আছে। সেই সিন্টোমের সাথে রাজশাহীতে কোন রোগীর মিল পাওয়া যায়নি।

স/আর