বিয়েবিচ্ছেদের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেহ-মনে: গবেষণা

যখন মনে হয় প্রিয়জনকে নিয়ে আর একসঙ্গে পথচলা সম্ভব হবে না, তখনই বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন মানুষ। হঠাৎ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত জীবনের গতিপথ বদলে দেয়। থমকে দাঁড়ায় প্রাত্যহিক জীবনের স্বাভাবিকতা।

বিবাহবিচ্ছেদের কারণে মনের পাশাপাশি দেহেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

ডেনমার্কের ১ হাজার ৯০০ তালাকপ্রাপ্ত মানুষকে নিয়ে গবেষণাটি করা হয়। পর্যবেক্ষণমূলক এ গবেষণার ফল সম্প্রতি ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি’ শীর্ষক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়।

নিজেদের বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা, কারণ এবং তাদের স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব নিয়ে নানান প্রশ্নের জবাব দেন জরিপে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা।

সার্বিক বিবেচনায় দেখা যায়, তালাক বা বিচ্ছেদের ঠিক পর পরই এ মানুষগুলোর জীবনযাত্রার মান অনেকটা নিচে নেমে যায়।

এই জরিপের প্রধান ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেনের অধ্যাপক ডা. সোরেন স্যান্ডার বলেন, অন্যান্য মানুষের তুলনায় তালাকপ্রাপ্তদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য মাত্রায় অবনতি ঘটে।

অংশগ্রহণকারীদের যে প্রশ্নগুলো করা হয় তা দিয়ে তাদের শারীরিক, মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা, সামাজিক জীবন বজায় রাখার চেষ্টা এবং সার্বিক কর্মশক্তির মাত্রা বিবেচনা করা হয়।

বিবাহবিচ্ছেদের মতো মানসিক ঝড় পূর্বের চেয়ে আরও বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরির পেছনে দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিবাহবিচ্ছেদের কারণে যেসব সমস্যা হয়ে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে– রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, ঘুমের প্রচণ্ড অবনতি, প্রচণ্ড মানসিক অস্বস্তি ও হতাশা।

গবেষকরা আরও বলছেন, পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে হওয়া বিচ্ছেদের পর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি খুব বেশি হয় না। তবে কলহ, ভুল বোঝাবুঝির পরিণাম হিসেবে হওয়া বিচ্ছেদের ধ্বংসাত্মক প্রভাব মারাত্মক।

 

সূত্রঃ যুগান্তর