সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকালে আড্ডায় বা সন্ধ্যায় কফি পান করতে পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা কম। এই কফির প্রথম উৎপত্তি হয় ইথিয়োপিয়ায় এ কথা অনেকেরই জানা। তার পরে ইউরোপ হয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে এই পানীয়। নানা দেশে নানারকম কফি পাওয়া যায়। সেই হিসেবে আছে দামেরও ব্যবধান। সবচেয়ে দামি কফি কোনগুলো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কোনা কফি: হাওয়াইয়ের এই কফির প্রতি কিলোগ্রামের দাম বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৬০০০ টাকা। এই কফি দানা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না বলে এর দাম এত বেশি।
লস প্লেনস: এল সালভাদরে এই কফির চাষ হয়। চাষ করেন এক জন মাত্র ব্যক্তি। তার নাম সার্জিয়ো তিকাস ইয়েইয়েস। কফিটির দাম ৭০০০ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম।
জামাইকান মাউনটেন ব্লু: জামাইকায় এই কফির চাষ হয়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় জাপানে। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রত্যেক কিলোগ্রামের দাম প্রায় ৮০০০ টাকা।
ফাজেন্দা সান্তা ইনেস: একটু মিষ্টি স্বাদের এই কফিটির চাষ হয় শুধুমাত্র ব্রাজিলে। প্রতি কিলোগ্রামের দাম ৮৫০০ টাকার কাছাকাছি।
সেন্ট হেলেনা: অতলান্তিক মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপ সেন্ট হেলেনা। সেখানেই চাষ হয় এই কফির। নেপোলিয়নও ভক্ত ছিলেন এই কফির। বাংলাদেশী টাকায় দাম কিলোগ্রাম প্রতি ১২,০০০ টাকার কাছাকাছি।
এসমারাল্ডা গেইসা: পানামার উত্তরেই শুধুমাত্র এই কফির চাষ হয়। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রতি কিলোগ্রামের দাম প্রায় ৩০ হাজার টাকার কাছাকাছি।
ওসপিনা: কলম্বিয়ার সবচেয়ে পুরনো কফি এটি। প্রতি কিলোগ্রামের দাম প্রায় ৩৫ হাজার টাকার কাছাকাছি।
ফিনকা এল এনহেরতো: এই কফির বিশেষত্ব এর দানা বিশেষ কায়দায় ধোওয়া হয়। তাতে সুবাস বাড়ে। প্রতি কিলোগ্রামের দাম বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৯০,০০০ টাকার কাছাকাছি।
ব্ল্যাক আইভোরি কফি: থাইল্যান্ডের এই কফিটি চাষের পদ্ধতি অদ্ভুত। হাতিদের এই কফি খাওয়ানো হয়। হাতির পেটে কফির দানার সঙ্গে হাতির পাচন রস মেশে। তার পরে সেই দানা যখন হাতির মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে, সেটি সাফ করে বিক্রি করা হয়। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রতি কিলোগ্রামের দাম ১ লাখ টাকার কাছাকাছি।
লুয়াক কফি: ইন্দোনেশিয়ার এই কফিটিও ব্ল্যাক আইভোরি কফির মত করে চাষ করা হয়। হাতির পরিবর্তে এখানে ব্যবহৃত হয় বিশেষ প্রজাতির বিড়াল। তারা বেছে সবচেয়ে মিষ্টি দানাগুলো খায়। বাংলাদেশী টাকায় এই কফির দাম প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কাছে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ