‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে চিত্তে ড. জোহাকে লালন করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক শহীদ ড. শামসুজ্জোহা স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শ্যামল চক্রবর্তী বলেছেন, ‘এটা চিরসত্য যে ড. জোহা আর জন্মগ্রহণ করবেন না। তবে আমরা যে ড. জোহার মতো আর কাউকে পাবো না বিষয়টি তেমন নয়। আমাদেরকে এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে তাদের চিত্তে ড. জোহার আদর্শকে লালন ও ধারণ করে শিক্ষার্র্থীদেরকেও সেভাবে তৈরি করতে হবে।’

সোমবার ড. শামসুজ্জোহার ৫০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ এই স্বারক বক্তৃতার আয়োজন করে। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে ‘চরিতার্থ এক বিজ্ঞান জীবন: নির্মিতি ও সমকালের ভাবনা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা পাঠ করেন অধ্যাপক শ্যামল চক্রবর্তী।

তিনি আরও বলেন, যাঁরা লড়াইয়ের ময়দানে নানা সময়ে আমাদের সামিল করেছেন ড. জোহা ছিলেন তাদের উত্তরসূরী। যে সকল গুণাবলির জন্য একজন পাঠদাতা প্রকৃত শিক্ষকের মর্যাদা লাভ করেন ড. শামসুজ্জোহা নিঃসন্দেহে সেই স্থান অর্জন করতে পেরেছেন।’

অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতি ড. জোহার যে তাগিদ ছিল সেটা সবারই থাকে না। তাঁর আত্মহুতি বৃথা যায়নি। পরবর্তী সময়ে দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এ আত্মহুতি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে দিয়ে বয়সের মধ্যে দিয়ে নয়। বঙ্গবন্ধু ও ড. জোহারা তাদের কর্মের মধ্যে দেশের মানুষের কাছে বেঁচে থাকবে চিরদিন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা। এতে সভাপতিত্ব করেন রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন হাওলাদার।

দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কালো পতাকা উত্তোলন, এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ ড. জোহার মাজার ও জোহা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হল, স্কুল, পেশাজীবী সমিতি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ ড. জোহার মাজার ও জোহা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

স/শা