বিশ্বজিৎ হত্যা : ৪ জনের খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: বহুল আলোচিত দর্জি দো্কানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় চারজনকে খালাস করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে এই স্থগিত আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর বহুল আলোচিত দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

গত ৬ আগস্ট দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল  রাখেন হাইকোর্ট। বাকি ছয়জনের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং অপর দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়।

এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দুইজন আপিল করেছিলেন তারা খালাস পেয়েছেন। অপর ১১ জনের  যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রয়েছে।

বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলা
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত  দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  দেন আদালত। ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার ডেথরেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।

মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা ছিলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার এবং মীর মো. নূরে আলম লিমন।

এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা ছিলেন- এ এইচ এম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।

বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায়  ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ছাত্রলীগের ২১ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই ২১ আসামির মধ্যে আটজন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগ ক্যাডাররা নির্মমভাবে খুন করে দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে।

শাখারীবাজারে বিশ্বজিতের দর্জি দোকান ছিল। তিনি থাকতেন লক্ষ্মীবাজার। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর।

সূত্র: রাইজিংবিডি