বিলুপ্ত প্রায় হটটিটি জীবনধারণ করে যেভাবে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আমাদের গ্রাম বাংলার একটা পাখি (হটটিটি বা লাল-লতিকা)। মানিকগঞ্জ জেলাসহ দেশের সব জায়গাতেই আগে প্রচুর পরিমানে দেখা যেতো, এখন দেশে এই পাখি গুলোর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। পাখিটি বাংলাদেশ,ভারত,দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায় বলে বিভিন্ন পাখি বিষয়ক ও বিভিন্ন জার্নালের তথ্য উপাত্ত মারফত জানা গেছে।

‘হাট্টিমাটিম টিম, তারা মাঠে পাড়ে ডিম’ কবিতাটি এই পাখিকে নিয়েই লেখা কিনা তা জানা না থাকলেও কবি যদি এই পাখিটিকে নিয়েই রচনা করতেন তার জনপ্রিয় শিশুতোষ এই কবিতাটি, তা যথার্থ তো বটেই; উপযুক্ত উপমার ক্ষেত্রেও এক উচ্চ দৃষ্টান্তের চিহৃ।

হটটিটি এক প্রজাতির পানিকাটা পাখি। অনেক এলাকায় এ পাখির নাম টিট্রিভ বা টিটি। আবার কোথাও হাটিটি নামে পরিচিত। এদের ইংরেজী নাম জবফ ডধঃষবফ খধঢ়রিহম আর বৈজ্ঞানিক নাম ঠধযবষষঁং ষধফরপঁং

সাধারণত চাষের জমির আশেপাশে বা নদীর ধারে জোড়ায়-জোড়ায় অথবা ছোট দলে বিচরণকারী করে। এই পাখি লম্বায় ৩০ থেকে ৩৩ সেন্টিমিটার। এরা দেখতে অনেকটা ডাহুক পাখির মত। গায়ের উপরিভাগের ডানা ও লেজের পালকের রং পাটকিলে এবং নিচের অংশ ফুরফুরে সাদা, মাঝে লালাভা বর্ণের সুনিপুণ আঁচড়। গলা ও মাথার অগ্রভাগ কালো এবং ঠোঁট ও চোখের চারপাশের রং লাল।

জলাশয় ও মাটির পোকামাকড়, কেঁচো, ছোট ব্যাঙ এদের প্রাত্যহিক খাবারের কমন তালিকায় থাকে। হটটিটি মাটি দিয়ে দ্রুত ছুটতে পারে। কিন্তু পায়ের আগুলের কারণে গাছের ডালে বসতে পারেনা। মাটিতে, ঝোঁপঝাড়ের আড়ালে- সামান্য মাটি খুঁড়ে তার ওপর ডালপালা বিছিয়ে এরা বাসা বানায় । মার্চ থেকে আগষ্টের মধ্যে বাসা বানায় ও চারটি ডিম দেয়। এদের ডাক শুনতে “হটটিটি-হটটিটি” মনে হয় দেখে এদের নাম হট্টিটি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এদের উপস্থিতি থাকলেও সংখ্যা ত্বত্তে¡ ভারত ও বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি এদের বাস বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত।