বিয়ের এক বছর পর অস্বীকার, স্বামীর ঘরে ফিরতে চান স্ত্রী

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিয়ে করে এক বছর সংসার করার পর অস্বীকার করে প্রতারণা করায় নিরুপায় হয়ে তার কর্মস্থলের প্রধান শিক্ষক, বিদ‍্যালয়ের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগী নারী।

অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুল হাসান খোকন উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাটেশ্বরী বরকতিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্ম বিষয়ের শিক্ষক ও নিকাহ রেজিস্টার। তিনি একই ইউনিয়নের কাজী আব্দুল মান্নানের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ মার্চ পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে আরজিনা খাতুন ও মাহমুদুল হাসান খোকন (৩৮) বিয়ে করেন। এক বছর সংসার করার পর গত ১২ জানুয়ারি অভিযুক্ত খোকন আরজিনার বাড়িতে আসলে আরজিনা তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন এবং বিবাহের কাবিননামার নকল চান। তখন তিনি নানা অজুহাত দেখিয়ে আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর ২২ জানুয়ারি আরজিনা স্ত্রীর অধিকার চাইতে গেলে তিনি বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। পরে গোপনে একটি তালাকনামা ভুক্তভোগীর ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, অনেক দিন থেকেই খোকন আমাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত। তার উত্ত্যক্ত সহ্য করতে না পেরে আমি ঢাকায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা কাবিননামায় বিয়ে করে। এক বছরে প্রায় প্রতি মাসে ঢাকায় আমার বাসায় আসত। আমি গার্মেন্টে চাকরি করে যে টাকা জমিয়েছিলাম সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে আমি বৌ হিসেবে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে বললে আমাদের বিয়ের কথা অস্বীকার করে। পরে আমার ঠিকানায় একটি তালাকনামা পাঠায়। আমি এই তালাক মানি না।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান খোকনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অভিযুক্ত খোকনের বাবা আব্দুল মান্নান কাজী তার ছেলে ও আরজিনার বিয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই মেয়েকে আমার ছেলে তালাক দিয়েছে।

পাটেশ্বরী বরকতিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির সঙ্গে কথাও বলেছি। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে অভিযোগটি নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি।

পাইকেরছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, বিষয়টি জানার পর একাধিকবার মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু কাজি (খোকন) সাহেব সাড়া না দেওয়ায় সুরাহা করা সম্ভব হয়নি। সূত্র: কালের কণ্ঠ