সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ২৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নয় উৎপাদন খরচ কমান: ক্যাবের সংবাদ সম্মেলন

Paris
ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে ঘাটতি মেটাতে নতুন তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটি বলেছে, বর্তমানে জ্বালানি খাতে ৭০ হাজার কোটি টাকা উদ্বৃত্ত আছে। ভোক্তার জামানত বাবদ আছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

এই টাকা দিয়ে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে বিইআরসির অধীনে একটি তহবিল গঠন করলে বছর বছর বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিদ্যুতে আর্থিক ঘাটতি সমন্বয়ে ক্যাবের প্রস্তাব’ শীর্ষক সংবাদ সম্মলনে এই প্রস্তাব দেয় ক্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এই প্রস্তাব অযৌক্তিক। তাই ক্যাবের পক্ষ থেকে বিইআরসির কাছে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাব বিবেচনায় নিলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নয়, কমানো যাবে।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের সময় মোট অযৌক্তিক ব্যয় ১০ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। এই ব্যয় সমন্বয়ে পাইকারি ও খুচরা বিদ্যুতের দাম এবং সঞ্চালন ও বিতরণ চার্জ পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। এসব অযৌক্তিক ব্যয় বৃদ্ধিতে ক্যাবের আপত্তি রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যৌক্তিক ব্যয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় না বলেই মূল্যহার নির্ধারণে ভোক্তা সুবিচার পায় না। ভোক্তা সঠিক দাম এবং মানের বিদ্যুৎ পায় না।’

ক্যাবের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান ও গবেষণা কমিশনের সভাপতি কলামিস্ট আবুল মকসুদ বলেন, ‘বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় আমরা ভোক্তাদের পক্ষ থেকে উদ্বিগ্ন। এখন বিইআরসির কাছে দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তা অযৌক্তিক। শহরে যেভাবে বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, গ্রামে সেভাবে পাওয়া যায় না। অথচ দাম একই।

এই বৈষম্যমূলক নীতির আমরা বিরোধী। বারবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে বৈদ্যুতিক শক দেয়ার মতো বেদনাদায়ক। সরকারের উদ্দেশে বলছি, আপনারা বৈদ্যুতিক শক দেবেন না। ন্যায্যমূল্যে বিদ্যুৎ দেন।’

তিনি বলেন, ‘রাজধানীর যেসব নাগরিক ধানমণ্ডি, গুলশান, বনানীতে বসবাস করেন তারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পান। কিন্তু দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের গ্রাহকরা এ সুবিধা পান না। কিন্তু সবাই সমান মূল্য পরিশোধ করেন। এ বৈষম্য কেন? এটা দূর করতে হবে। বিদ্যুৎ বৈষম্য দূর করতে তিন-চার স্তরে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।’

ক্যাবের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান ও গবেষণা কমিশনের সদস্য বদরুল ইমাম বলেন, ‘অপরিকল্পিত ব্যয়বহুল আমদানি করা জ্বালানির কারণে বাড়ছে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ। বাংলাদেশের উচিত সাশ্রয়ী জ্বালানির জোগান দেয়া, যেন বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমে।’

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ খাতে অনেক কাজ করছে। কিন্তু কিছু কিছু কাজের জন্য সমালোচিত হচ্ছে সরকার। এর একটি হল বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি। অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ঠিক হবে না। আমরা চাই, বিইআরসি সবার মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিক।’

তিনি বলেন, ‘ক্যাবের পক্ষ থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমাতে যেসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, সেগুলো কমিশনের বিবেচনায় নেয়া উচিত।

ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে সামনে আসছে দুটি বিষয়। একদিকে সাগরের বিশাল জায়গা পড়ে আছে, অনুসন্ধান করা হচ্ছে না। অন্যদিকে আমদানি করে এলএনজি, কয়লা আর তেল আনা হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। এই অজুহাতেই বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুতের দাম।’

তিনি বলেন, ‘কমিশনের একজন সদস্য জামিনে মুক্ত অবস্থায় আছেন। তাকে দিয়ে কী করে বিদ্যুতের দামের শুনানি হয়, সেটাই প্রশ্ন।’

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য