বিদেশি ব্র্যান্ডের দুধ কেন শঙ্কামুক্ত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিদেশি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন গুঁড়ো দুধ নিরাপদ ও শঙ্কামুক্ত। এসব দুধে থাকে পুষ্টির নিশ্চয়তা। মূলত তিন কারণে এই দুধকে নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

এগুলো হল- প্রাকৃতিক খাদ্য ও নিবিড় যত্নে পালনকৃত গরু থেকে সংগ্রহ করা হয় দুধ; ইউরোপে নিজস্ব গরুর খামার থেকে দুধ সংগৃহীত; প্রতিটি ধাপে ইউরোপিয়ান স্টান্ডার্ড মেনে গুঁড়ো দুধ প্রস্তুত করা হয়।

২০০৮ সালের দিকে একবার শোরগোল উঠে যে, গুঁড়ো দুধে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেলামাইন আছে। তখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ এ নিয়ে প্রথম গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

পরে এটি নিয়ে বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্টান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট) এবং বিএইসি (বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশন) গবেষণা করে। ওই সব প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষায়ও গুঁড়ো দুধে প্রায় একই ফলাফল বেরিয়ে আসে।

তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গুঁড়ো দুধের পরীক্ষার ওপর জার্মানি থেকে একটি প্রতিবেদন সংগ্রহ করে। তাতে দেখা যায়, বিদেশি কয়েকটি ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধে শূন্য দশমিক ১ পিপিএমের কম মেলামাইন আছে।

অপরদিকে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর বলেছে, বয়স্কদের জন্য ২ দশমিক ৫ পিপিএম মেলামাইন সহনীয়। যদিও সেই প্রতিবেদনে শিশুদের জন্য কোনো সহনীয় মানের কথা বলেনি।

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ২০০৯ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন দিনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ওই বছর ৭ জানুয়ারি ৫টি ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধের ওপর বাংলাদেশের হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের বিদেশি গুঁড়ো দুধ বিক্রি হয়। এগুলোর বেশির ভাগই ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।