বিজয় সমাবেশে আসছেন নেতা-কর্মীরা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশাল জয় উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ‘বিজয় সমাবেশ’ দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে। যদিও এর আগেই সকাল থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যত লক্ষ্য তুলে ধরতে পারেন বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির বার্তাও দিতে পারেন তিনি।

সমাবেশের মূল অনুষ্ঠান আড়াইটায় শুরু হলেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে দুপুর ১২টায়। বিজয় সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। সমাবেশের মঞ্চ, সাজসজ্জা, মাঠ পরিষ্কার করা হয়েছে। খাবারের পানি, পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ সকল প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সমাবেশস্থলে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নেতা-কর্মীদের মিছিলে বহন করে আনা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। উদ্যানের ৬টি গেইটের মধ্যে শিখা চিরন্তন গেইট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দ, ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনের গেইট দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করবেন।

এ ছাড়া তিন নেতার মাজার সংলগ্ন গেইট, বাংলা একাডেমির সামনের গেইট, টিএসটি গেইট ও চারুকলার সামনের গেইট দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রবেশ করবেন। সমাবেশস্থলকে নান্দনিক শৈল্পিকভাবে সাজানো হয়েছে। সমাবেশের বিশাল প্যান্ডেলে প্রায় ত্রিশ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে।

এদিকে ১৪ দল জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও এই সমাবেশে তাদের আনুষ্ঠানিক অংশগ্রহণ থাকছে না। তবে ১৪ দলের শরিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৭টি আসনে জয়লাভ করে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে। বড় বিজয় স্বত্ত্বেও কোথাও বিজয় মিছিল করেনি আওয়ামী লীগ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের মাধ্যমে তা উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত হয়।