বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘার সীমান্তে ৩ বাংলাদেশি জেলে ভারতীয় বিএসএফ এর হাতে আটকের পর তাদের ফিরে এনে থানায় বাঘা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মীরগঞ্জ ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান বাদি হয়ে ভারতের সীমানা অতিক্রম করায় ১৯৭৩ এর ১১ (ক) ধারায় মামলা দিয়ে তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশি ৩ জেলে বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ ভানুকর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ বাবু (২২), চারঘাটের রাওথা গ্রামের ইয়াজ মন্ডলের ছেলে এনামুল হক (৪৫) ও একই গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে হাসিবুল ইসলাম (৩৫) মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে বাঘা ও চারঘাট উপজেলার সীমান্তের মীরগঞ্জ ও রাওথার পদ্মা নদীর মাঝামাঝি স্থানে মাছ ধরতে যায়। এ সময় ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলংগী থানার খাসমোহল ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে মীরগঞ্জ ক্যাম্পের বিজিবি ও খাসমোহল ক্যাম্পের বিএসএফ এর মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফিরে আনা হয়।
এ বিষয়ে মীরগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান বলেন, ভারতের সীমান্তের মধ্যে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের কারনে ৩ বাংলাদেশি জেলেকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফিরে এনে তাদের নামে মামলা দিয়ে বাঘা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া ৬৫ হাজার টাকার মূল্যেও একটি কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে, উপজেলার মীরগঞ্জ ভানুকর গ্রাামের এরাজুল ইসলাম ও সুমন আলীকে ২৩ নভেম্বর উপজেলার সীমান্তের হরিরামপুর পদ্মা নদীর ২ নম্বর কলোনীর চরে কাশবন (খড়) কাটতে গেলে ভারতের মর্শিদাবাদ জেলার জলংগী থানার দয়ারামপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে। এ বিষয়ে বাঘা উপজেলার আলাইপুর বিজিবি পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী বিজিবি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও বিএসএফ এই দুই শ্রমিকের বিষয়ে সাড়া দেয়নি।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ৩ বাংলাদেশি জেলেকে বিজিবি’র মামলায় বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
স/অ