বাহারি পাঞ্জাবিতে ছেলেদের ঈদ আনন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছেলেদের ঈদের পোশাক মানেই নতুন-নতুন ধাঁচের বাহারি পাঞ্জাবি। এই বাহারি রঙের বা প্রিন্ট অথবা হাতের কাজ করা পাঞ্জাবিগুলো প্রকাশ করে আলাদা আলাদা স্টাইল। তাইতো ঈদকে সামনে রেখে পছন্দের ঈদ পোশাকটি কিনতে নগরীর দোকানে ঘোরাঘুরি শুরু করেছেন ক্রেতারা। দোকানগুলোর মধ্যে হাজারো পোশাকের ভিড়ে বেছে নিচ্ছেন নিজের পছন্দের ঈদ পোশাক।

পোশাকের দোকানগুলোতে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের পোশাকে তেমন বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব চোখে না পড়লেও পিছিয়ে ছেলেদের ঈদের পোশাক। তবে অন্যান্য পোশাকের ভিড়ে বেচাকেনার দিক থেকে বিভিন্ন ঢঙের পাঞ্জাবিই রয়েছে সবচেয়ে এগিয়ে এমনটিই বলছেন, নগরীর পাঞ্জাবি বিক্রেতারা।

নগরীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে কটন, কাতান, জয়শ্রী সিল্ক কাপড়ের জমকালো পাঞ্জাবির সংগ্রহ বেশি। দাম হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২৫’শ টাকা পর্যন্ত। তবে সাধ্যের মধ্যে নিজেদের পছন্দের পাঞ্জাবিটাই কিনছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতারা গরামের কথা রেখে সুতির পোশাকের পাঞ্জাবিই বেশি কিনছেন। এই পাঞ্জাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বাহুবালি, নঙ্গর, নাহিদ এবং পিকের মতো বাহারি সব নামও।

নগরীর সোনাদিঘীর মোড় এলাকার উপমা ফ্যাশনের সত্তাধিকারী গোলাম কবির জানায়, গত কয়েক দিনের চেয়ে পাঞ্জাবি ভালোই চলছে। পাঞ্জাবিগুলো সুতি কাপড় ও আরাম দায়ক। তাই গরমের কথা মাথায় রেখে ক্রেতারা সুতির কাপড় কিনছেন। এবার পাঞ্জাবিগুলো হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২২’শ থেকে ২৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

পাঞ্জাবি কিনতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, পুরু হাতের কাজ অথবা এ্যামব্রডারির মাধ্যমে ডিজাইন করা হয়েছে এমন পাঞ্জাবি আমার ভাল লাগে। হাতা এবং গলাতে হলে মন্দ হয় না। লং এবং শর্ট পাঞ্জাবি দুইটাই ভাল লাগে।

একই এলাকার সিঙ্গানেচার নামের পাঞ্জাবির দোকানের বিক্রেতা মো. ডাবলু বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে পাঞ্জাবির ডিজাইনে নতুনত্ব এসেছে। কাপড়গুলোও বেশ আরামদায়ক করা হয়েছে গরমের বিষয়টা মাথায় রেখে। আর দামের দিক থেকেও রয়েছে মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই।

 

স/আ