বার কাউন্সিলে লিখিত পরীক্ষা চেয়ে রিট আবেদনের আদেশ আগামী সপ্তাহে

আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে পারবেন বলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের জারি করা নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি মূলতবি রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। এই পরীক্ষা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময় চাওয়ায় আদালত আগামী সপ্তাহে আদেশ দেবেন বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

বিচারপতি তারিক উল হাকিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। বার কাউন্সিলের পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত ৩৫৯০ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করা হয় গত ২৮ জুলাই। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও মো. আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে ২৬ জুলাই নোটিশ দেয় বার কাউন্সিল। এই নোটিশে বলা হয়েছে, যারা একবার লিখিত পরীক্ষা দিয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন তারা দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন না।

নোটিশের এই অংশটুকু জুড়ে দেওয়ায় ২০১৭ সালের ২১ জুলাই এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫৯০ জন শিক্ষার্থী এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না। কারণ এসব শিক্ষার্থী এমসিকিউ পরীক্ষায় পাস করার পর লিখিত পরীক্ষা দিলেও তারা উত্তীর্ণ হতে পারেননি।

অথচ এই অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে গতবছর ১৫ সেপ্টেম্বর বার কাউন্সিলের জারি করা (স্বারক নম্বর-বাবাকা/প্রশাসন/২০৬০) নোটিশে বলা হয়, এসব শিক্ষার্থীদের এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা সরাসরি লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এ কারণে এসব শিক্ষার্থী চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেননি। কিন্তু ২৬ জুলাই বার কাউন্সিলের জারি করা নোটিশে ওইসকল শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় বসা রুদ্ধ করা হয়েছে। বার কাউন্সিলের এই স্ববিরোধী নোটিশে সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

সোমবার এই রিট আবদেনের ওপর শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইন সংশোধনের উদ্দেশ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা চেষ্টা করছেন আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে(রিট আবেদনকারী) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে। এজন্য এক সপ্তাহ সময় চাচ্ছি।

এ সময় আদালত মৌখিকভাবে বলেন, এক সপ্তাহের জন্য মূলতবি করা হচ্ছে। যদি এর মধ্যে তারা (বার কাউন্সিল) যদি কোনো সমাধানে না পৌঁছাতে পারে তাহলে আগামী সপ্তাহে আদেশ দেওয়া হবে।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ