বারিন্দ কলেজ: কর্মসূচি পালন করায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বহিষ্কারের হুমকির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বেসরকারি বারিন্দ মেডিকেল কলেজে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে কর্মসূচি পালন করায় কলেজ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ। শনিবার বিকেলে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদীর নাহিদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কোথাও কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়”, প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়ে কেন্ত্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগ রাজশাহী মহানগরের আহ্ববায়ক আনিকা ফারিহা জামান অর্ণার নেতৃত্বে তার নিজস্ব ক্যাম্পাস বারিন্দ মেডিকেলে গত ১৯ জুলাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে।
এই কর্মসূচি পালনের পর থেকে বারিন্দ মেডিকেল কলেজ প্রশাসন ছাত্রলীগ নেত্রী ও কলেজের শিক্ষার্থী অর্ণা জামান, বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফ জামান আনন্দ, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বণিসহ মিছিলে সমাবেশে অংশগ্রহণকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় প্রশাসন কর্তৃক অত্যন্ত সুকৌশলে মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগ না করার জন্য নানা ভাবে চাপদিয়ে যাচ্ছে, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে। বারিন্দ মেডিকেল প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগ তথা ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়ানোর প্রমান পাওয়া গেলে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘ছাত্রলীগ রাজশাহী মহানগর শাখাসহ অন্যান্য শাখার নেতৃবৃন্দ বারিন্দ মেডিকেল কর্তৃপক্ষের এরূপ আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আমরা জানাচ্ছি যে, দেশের প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগের অভিভাবক ও বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার প্রধান সেনানি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও দিক নির্দেশনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের সংগ্রাম যেকোন মূল্যে অব্যাহত রাখবে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বারিন্দ মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কাউকে কোনো হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়নি। অর্ণা আমার কলেজের ছাত্রী, তারা একটা প্রোগাম করেছে, কিন্তু আমাদের জানায়নি। এজন্য আমি তাকে ডেকেছিলাম, কিন্তু সে আসেনি।
তিনি আরো বলেন, মেডিকেলে অনেক পড়াশোনার চাপ থাকে, তাই আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের বলেছি, তোমরা এখন রাজনীতিতে জড়িও না, রাজনীতি করার অনেক সময় পাবে, এখন ভালোভাবে পড়াশোন কর। তাদের কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি, অভিভাবক হিসেবে তাদের ভালোভাবে পড়াশোনার করার পরামর্শ দিয়েছি।’
স/মি