বাবার হাতে দুই মেয়ে খুন, পরে পুলিশসহ আরও তিনজনকে হত্যা

ভারতে স্ত্রীর সামনে দুই মেয়েকে খুন করেছে বাবা। পরে স্ত্রীকে মারতে গেলে বাধা দিতে গিয়ে পুলিশ ও অটো চালকসহ আরও তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ভারতের ত্রিপুরার খোয়াই।

এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় বেশ কয়েকটি বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, অভিযুক্ত প্রদীপ দেবরায় উত্তর রামচন্দ্রঘাটের শেওড়াতুলির বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে নিজের বাড়িতে আসেন তিনি। পরে পারিবারিক কলহে স্ত্রীর সামনে ধারাল অস্ত্র দিয়ে দুই কন্যাসন্তানকে কোপান। চোখের সামনে নিজের সন্তানদের ওপর অত্যাচার মানতে পারেননি প্রদীপের স্ত্রী মীনা পাল। দুই সন্তানকে বাঁচাতে যান তিনি। সেই সময় স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে প্রদীপ। পরে বাড়ি ছেড়ে কোনোক্রমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মীনা। স্ত্রীকে ধরতে দৌড়াতে শুরু করেন প্রদীপ।

একপর্যায়ে পথে হাত নাড়িয়ে একটি অটো দাঁড় করান তিনি। এরপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে অটোর সামনের কাচে সজোরে আঘাত করেন। অটোয় থাকা যাত্রীদের আঘাত করেন। একজনের চোট গুরুতর। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছান খোয়াই থানার সেকেন্ড অফিসার সত্যজিৎ মল্লিক। তাকেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।

রক্তাক্ত অবস্থায় প্রত্যেককে উদ্ধার করে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তের স্ত্রীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। অভিযুক্তের দুই সন্তান, পুলিশ কর্মকর্তা, অটোচালকসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু কেন এমন কাজ করলেন তিনি? অভিযুক্ত প্রদীপ জানায়, ‘সকলেই বিশ্বাসঘাতক’। তবে কী কারণে খুন করেছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি প্রদীপ।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন