বাঘা পদ্মার চরে অভাবীদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন চেয়ারম্যান

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা পদ্মার মধ্যে দূর্গম চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম অভাবীদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। শনিবার সকাল থেকে এই খাবার দেয়া হয়। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার সরকারি বা অন্য ত্রাণ লোক লজ্জার কারণে নিতে আসতে পারছেনা, এমন ২৫০ পরিবারে নিজস্ব অর্থায়নে গোপনে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।

জানা যায়, পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নে ৯টি মোজ রয়েছে। এই মোজায় জনসংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। পরিবার রয়েছে ৩ হাজার ১০০ জন। সরকারিভাবে প্রথম ধাপে ৩৫০টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৫০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। এই চরে প্রায় ৮৫ ভাগ পরিবার দরিদ্র। তারা দিন আনে দিন খায়। চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই ফরিদ আহম্মেদ টিটোর নিজস্ব অর্থায়নে মধ্যবৃত্ত ২৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ফিরোজ আহম্মেদ টিটো বলেন, মধ্যবৃত্ত পরিবারে খাদ্যসামগ্রীর ব্যাগ দরজার সামনে রেখে কড়া নেড়ে চলেছি। পরে তারা ব্যাগ নিচ্ছে। গোপনীয়তা বজায় রেখে অভাবী মানুষদের জন্য কিছু করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে পুরো দেশ প্রায় লকডাউন। এ অবস্থায় ঘর থেকে বেরোতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন পদ্মার চরের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকারিভাবে যে বরাদ্দ হয়েছে, তা অপ্রতুল। ফলে আমরা বিপাকে পড়েছি। নিজস্ব অর্থায়নে কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। দু:খ লাগে সরকারি ত্রানগুলো পরিবহনের খরচটা ব্যক্তিগত ভাবে দিতে হয়। এগুলো দেয়া না লাগলে হইতো এ দুর্যোগের সময়ে আরো ১০টি পরিবারকে সহযোগিতা করা যেতো।

তিনি আরো বলেন, নদী ভাঙ্গন ও দূর্গত এলাকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর (ওএমএস) ১০ টাকার চাল বিক্রি শুরু হওয়া কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছি। চরে কার্ড রয়েছে ১ হাজার ১২৯ জন। এই কার্ড তাদের কাছে সংরক্ষণ থাকায় ডিলালের কাছে থেকে চাল নিজে সংগ্রহ করছে। ফলে কোন বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছেনা। তবে এই দূর্যোগের মধ্যে পদ্মার চরে ত্রাণ সামগ্রী বৃদ্ধি করা না হলে অনেকেই না খেয়ে জীবন যাবন করতে হবে।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিন রেজা বলেন, মধ্যবিত্তরা চক্ষু লজ্জার কারণে নিজেদের অভাবের কথা বলতে পারে না। এই অভাবী মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে, সেদিকে লক্ষ রেখে ত্রাণ বিতরণে করতে হবে। তবে চাহিদার তুলনায় কম। পর্যায়ক্রমে দেয়া হচ্ছে। ধৈর্য্য ধরতে হ্েব সবাই পাবে।