বাঘায় ১০ বেডের আইসোলেশন সেন্টারে কিটের ব্যবস্থা

আমানুল হক আমান, বাঘা :
করোনা মোকাবেলার জন্য রাজশাহীর বাঘা হাইস্কুল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে আলাদাভাবে ১০ বেড বিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। পিপিই, মাস্ক ও কিটের ব্যবস্থা করা রয়েছে। তবে আইসোলেশন সেন্টার কোন রুগী নেই।

জানা যায়, বাঘা মডেল হাইস্কুলের একটি কক্ষে ৫ বেড বিশিষ্ট ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ৫ বেড বিশিষ্ঠ আলাদাভাবে মোট ১০ বেড বিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ডাক্তারের জন্য করোনা মোকাবেলার জন্য সুরক্ষিত পোশাক পিপিই, মাস্ক ও কিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জ্বর, সর্দি কাশির রোগীদের সাবধানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ডাক্তার সংকঠ রয়েছে। ৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ২৮টি পদের পরিবর্তে টিএইএসহ কর্মরত রয়েছে ১০ জন মাত্র ডাক্তার। ২২টি নার্সের স্থলে রয়েছে ১৪টি নার্স। তবে নাইট গার্ড, পিয়ন, আয়া, পদগুলো দীর্ঘদিন থেকে শুন্য রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ১৫টি কিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যবহৃত হয়েছে ৯টি। পরীক্ষার ফলাফল এসেছে ৫টির। ৫টির নেগেটিভ। কোন করোনা সনাক্ত হয়নি। বাঁকি ৪টির ফলাফল দুই/এক দিনের মধ্যে আসবেন বলে জানা গেছে। কর্মরত ১০ জন ডাক্তারকে পিপিই মাস্কসহ চিকিৎসা সামগ্রী সরকারিভাবে প্রদান করা হলেও নার্সদের জন্য কোন ব্যবস্থা করা হয়নি।

এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের পক্ষে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। গ্রামে কোন করোনা রোগীর সন্ধান পেলে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া অথবা মোবাইল ফোনে রোগ শুনে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে প্রস্তুতকৃত আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হওয়ার মতো কোন রুগী এখনো আসেনি। তবে জরুরি বিভাগ ও আউটডোরে পূর্বের তুলনায় রোগির সংখ্যা কমেছে। করোনা আতঙ্কে মধ্যে অনেকেই আসতে চাচ্ছেনা।

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, ডাক্তারের জন্য মাস্ক ও পিপিই ব্যবস্থা থাকলেও নার্সদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় হুমকিতে রয়েছি।

উপজেলায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগি শনাক্ত না হলেও আইসোলেশনের জন্য ১০ শয্যা বিশিষ্ট দুই স্থানে ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তবে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের সাথে না মিশে এবং শুধু ঘরে বসে না থেকে পাড়ির পাশে কোন জমি ফাঁকা না রেখে, সেই জমিতে সবজির আবাদ করার জন্য আহবান জানান।

তবে করোনার বিষয়ে কেউ চাইলে নিজে থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারবেন বলে জানা তিনি।

স/অ