বাঘায় সিগারেটের স্যাকায় হাসপাতালে গৃহবধু

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় সিগারেটের স্যাকায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক গৃহবধু। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার খাঁয়েরহাট গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, ২৫ বছর বয়সে চারটি বিয়ে করেন জুয়েল রানা নামের এক যুবক। তার অত্যাচারে ৩ স্ত্রী চলে গেছে। সর্বশেষ বছর খানেক আগে ১ লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য করে বিয়ে করেন উপজেলার খাঁয়েরহাট গ্রামের নুরুল আমিনের মেয়েকে (২০)। সেও রেহাই পায়নিতার নির্যাতন থেকে। স্বামীর নির্যাতনে ডান পায়ের হাটুর নীচে ও উপরে সিগারেটের স্যাকা দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করেন। খবর পেয়ে তার মা নাজমা বেগম ও ভাই দুলাল হোসেন রাত ৮টার দিকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিরিন আকতার জানান, ডান পায়ের হাটুর নীচে ও উপরের অংশে বেশ কয়েকটি ক্ষতের চিহৃ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, মেয়ের এ অবস্থা দেখে বিষন্ন মনে পাশে বসে আছে মা নাজমা বেগম।

এ সময় ভুক্তভোগী জানান, আমার স্বামী জুয়েল পরনের পায়জামার ওপর দিয়ে সিগারেটের জ্বলন্ত আগুন চেপে ধরে নির্যাতন করে। সেই আগুনে পুড়ে যায়। শুধু এবারই নয়, বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। অন্তসত্বা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে সন্তানও নষ্ট হয়ে গেছে। গরীব পরিবারের মেয়ে তাই নির্যাতন সহ্য করে সংসার করেছি।

ভুক্তভোগীর মা নাজমা বেগম জানান, বিয়ের কয়েক মাস পর ধারে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিল জামাই জুয়েল। সেই টাকা চাওয়ার পর থেকেই মাঝে মধ্যে মেয়েকে নির্যাতন করে। জামাইয়ের সাংসারিক অবস্থা ভালো দেখে মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়। সে এতটা খারাপ হবে বুঝতে পারিনি। এর আগে এসব কারণে থানায় জিডি করা হয়। এই নির্যাতনের কারনে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জুয়েল রানা জানান, একাধিক বিয়ের কথা শিকার করলেও সিগারেটের স্যাকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। বিয়ের পর থেকে সে আমার কথামতো চলাচল না করে নিজের ইচ্ছামতো চলতে চায়। এনিয়ে সংসারে বাক বিতন্ডা হয়। তবে অশান্তির মূলে হচ্ছে আমার স্ত্রীর মা।

বাঘা থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম জানান, শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর)  বাদি হয়ে ভুক্তভোগী একটি অভিযোগ করেন।