বাঘায় মাজার দিঘিতে দুই দিনব্যাপি মাছ শিকার উৎসব শেষ

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় মাজার দিঘিতে দুই দিনব্যাপি মাছ শিকার উৎসব শনিবার শেষ হয়েছে। এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা ভিড় করে।

জানা যায়, সুলতানি আমলে খনন করা হযরত শাহদৌলা (রহঃ) ও হযরত আব্দুল হামিদ দানিশ মন্দ (রহঃ) এর স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক বাঘা মাজার দিঘিতে দুইদিনের মাছ শিকারে হাজার হাজার দর্শনার্থী ও মাছ শিকারিদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। দিঘির চারপাশে শিকারিরা বর্শি নিয়ে মাছ শিকার করে আর দেখার জন্য হাজার হাজার নারী, পুরুষ ও শিশুরা ভিড় করে ছিল। শিকারিদের বর্শির ছিপে ধরা পড়ে রুই, কাতল, মৃগেল, সিলভার কাপ ও গজাড়সহ নানান প্রজাতির মাছ। বর্শিতে বেঁধে উঠে আসা এসব মাছের খেলা দেখে আনন্দে মেতে উঠে মাছ শিকারিসহ দর্শনার্থীরা।

গত শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন মাছ শিকারের জন্য কর্তৃপক্ষ এক মাস আগে ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা অনুযায়ী সিট প্রতি ১০ হাজার টাকা দিয়ে আগাম টিকিট সংগ্রহ করেন মাছ শিকারিরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাজার সংলগ্ন দিঘিতে মাছ শিকারের জন্য তারা আসেন।


কুষ্টিয়া থেকে আসা মাছ শিকারি খায়রুল আলম জানান, তার বর্শিতে সর্বোচ্চ ৮ কেজি ওজনের রুই মাছ ধরেছেন। এর চেয়ে কম ওজনেরও অন্য প্রজাতির মাছ তিনি ধরেছেন।

ইশ্বর্দীর আরেক মাছ শিকারি আবুল হোসেন জানান, তার বর্শিতে ৪ কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ধরা পড়েছে। এছাড়াও অন্য প্রজাতির ছোট মাছও অনেক ধরেছেন। তবে মাছ না পেয়ে হতাশ হয়েছেন এমন মাছ শিকারির খোঁজ মেলেনি।

বাঘা ওয়াকফ এষ্টেটের মোতয়াল্লি ও মাজার কমিটির সদস্য সচিব খন্দকার মুনছুরুল ইসলাম রইশ জানান, দুই দিন ব্যাপি মাছ শিকারের জন্য প্রতিটি টিকিটের মূল্য নির্ধারন করা হয় ১০ হাজার টাকা।

দিঘির চারপাশে নির্ধারিত সিটের সংখ্যা ছিল ১০২টি সিট। সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুইদিন মাছ ধরার সময় নির্ধারন করা হয়। প্রতিজন মৎস্য শিকারী তিনটি করে ছিপ বর্শি ব্যাবহার করেন।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা জানান, বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান ও জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ গত শুক্রবার সকালে উপস্থিত থেকে মাছ শিকারের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
স/শ