বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় এক ভারতীয় নাগরিকসহ ৬০০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়েছে। এসময় আরো ৬ জন চোরাকারবারীকে আটক করা হয়। বুধবার রাতে বাঘা সীমান্ত এলাকায় আলাইপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
জানা যায়, বুধবার রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা সীমান্ত এলাকার আলাইপুর কান্দিপাড়া গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে মাদক ব্যাবসায়ী হামিদুল ইসলামের (৩২) বাড়িতে অভিযান চালায় বাঘা-চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নুরে আলম। এসময় হামিদুলের ঘরের পছেন থেকে তিন বস্তার মধ্যে রাখা ৬০০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়। এ সময় হামিদুল ইসলাম (৩২), উপজেলার মীরগঞ্জের ভানুকর গ্রামের হাফিজুল ইসলাম (৪০), তার ছেলে জনি আহাম্মেদ (১৮), একই গ্রামের মাসুদ রানা (৩২), ভারতীয় নাগরিক মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার চরকাকমারী গ্রামের হাবিবুর রহমান (৩৮), পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর এলাকার মাদক সম্রাট হাবিবুর রহমানের স্ত্রী তারা বেগম (৩৭), জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাইক্রো চালক সাজুকে (৩৮) আটক করে পুলিশ।
ফেন্সিডিলের সাথে একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল। এ সময় কৌশলে আরো একজন পালিয়ে যায়।
আটককৃত ভারতীয় নারগরিক হাবিবুর রহমান জানান, ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে বুধবার সন্ধ্যার পূর্বে ভারত থেকে তিন বস্তার মধ্যে করে ৬০০ বোতল ফেন্সিডিল নিয়ে নদী পথে ভেসে এসে বাঘার আলাইপুর ঘাটে পৌছান তিনি। সেখান থেকে হামিদুল সেগুলো তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এর ঘন্টা দুয়েক পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
এ বিষয়ে বাঘা-চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নুরে আলম বলেন, বাঘা মাদক প্রবণ এলাকা। এ থানায় প্রায় মাদকবিরোধী অভিযান চলে। সেই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এক ভারতীয় নাররিকসহ ৬০০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়। এসময় আরো ৬ জনকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘা থানার তদন্ত ওসি আবদুল ওহাব বলেন, আটককৃতদের নামে মামলা দিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
স/শা
