বাঘায় বিকল্প কর্মস্থানের জন্য মৎস্যজীবীদের মাঝে গরুর বাছুর বিতরণ


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘায় বিকল্প কর্মস্থানের জন্য মৎস্যজীবীদের মাঝে বকনা গরুর বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (২৫ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলা চত্বরে ১০ জন মৎস্যজীবীদের মাঝে একটি করে এই গরু বাছুর বিতরণ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট্র সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে এক হাজার ৩০৭ জন। এরমধ্যে অতিদরীদ্র বাছাই করে ১০ জনকে একটি করে গরুর বাছুর প্রদান করা হয়েছে। ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অধীনে প্রতিজনকে ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি করে গরুর বাছুর প্রদান করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা, জেলা মৎস্য সহকারি পরিচালক শিরিন শিলা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাহাদুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান, সমাজসেবা কর্মকর্তা নাফিজ শরিফ, আনসার ভিডিবি কর্মকর্তা মিলন কুমার দাস, এমরান হোসেন প্রমুখ।

পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী চরের আক্কেল হোসেন বলেন, আমরা সারা বছর পদ্মা নদীতে মাছ ধরে সংসার পরিচালনা করি। ইলিশ মৌসুমে মাছ ধরা নিষেধ থাকে, তাই ধরতে পারিনা। ওই সময় বেকার থাকতে হয়। মৎস্য অফিসের মাধ্যমে গরুর একটি বকনা বাছুর পেয়েছি। এ বাছুরকে লালন পালন করে বড় করে ওই সময় দুধ বিক্রি করে সংসার পরিচালনা করতে পারবো বলে জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাহাদুল ইসলাম বলেন, ইলিশ মৌসুমে মাছ ধরা নিষেধ থাকে। তারা যেন ওই সময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকে এই জন্য সরকার ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে গরুর বাছুর প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, ইলিশ মৌসুমে ২২-২৪ দিন নিষিদ্ধ সময়ে পদ্মা নদীতে মাছ শিকার যেন আর না করে, সেই দিক বিবেচনা করে সরকার দরিদ্র মৎস্যজীবীদের মাঝে গরুর বাছুর প্রদান করেন। একটি বাচুর থেকে তারা আগামীতে বিকল্প কর্মস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

এএইচ/এস