বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় গ্রেফতার হওয়া সেই ছাত্রদল নেতা শামিম আহম্মেদ সরকারকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে আবু সাইদ চাঁদকে প্রধান আসামী করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাঘা থানার এসআই সইবুর রহমান বাদি হয়ে মঙ্গলবার ২টা ৫৫ মিনিটে এ মামলা দায়ের করে।
বাঘা থানা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে উপজেলার সরেরহাটের বামনডাঙ্গা গ্রামের বাচ্চু সরকারের ছেলে ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক শামিম আহম্মেদ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তারপর সে পলাতক ছিলো। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বাঘায় বিএনপির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন শামিম। এ সময় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে বাঘা থানার এসআই সইবুর রহমান, এএসআই শাহ আলম, মোশারফ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করে। এ সময় পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে বাঘা থানার এসআই সইবুর রহমান মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, বাঘা উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাঘা পৌর বিএনপি সভাপতি কামাল হোসেনের নতুনপাড়ার বাড়ির আঙ্গিনায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্টানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ। তবে এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি গঠন না করে সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে আবু সাইদ চাঁদের বক্তব্য নেয়ার জন্য বুধবার বিকেল ৪.৪৫ মিনিটে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন দিলে সেটা বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে এ মামলার দ্বিতীয় আসামী বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান খান মানিক বলেন, কোন সভাস্থল থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে সিভিল পোশাকে আসামী ধরতে যাওয়ার নিয়ম আছে কিনা জানিনা। তারপরও পুলিশ গিয়েছিল। তবে এখানে আসামী ধরার ও ছিনতায়ের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। আমাদের হয়রানি করার জন্য এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এ মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
