বাঘায় প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ি ঘর ভাংচুর: আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ২ জনকে পিটিয়ে আহত করে বাড়িঘরে ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় বাঘা থানায় অভিযোগ করা হলে মামলা না নেয়ায় গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী জেলা জজ আদালতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী পরিবার। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঘার আনসার ভিডিপিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
মামলার আসামিরা হলেন, বাঘার ৪ নম্বর ওয়ার্ড নারায়নপুর এলাকার মৃত তাজেম আলী সর্দার চার ছেলে আব্দুস সালাম পিন্টু,রান্টু, সেন্টু,কালাম সর্দার, একই এলাকার রান্টুর ছেলে হৃদয়,আজিজুল হকের ছেলে সোহেল রানা ও জুয়েল, কালাম সর্দারের ছেলে সিজার,আবুলের ছেলে তৌহিদুল। বাজুবাঘা ইউনিয়নের মৃত জনাব আলীর ছেলে আফাজ,মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে রনজু আহম্মেদসহ আরও অজ্ঞাত ৬-৭ জন।
মামলা এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মে বাঘার বাজুবাঘা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড নারায়নপুর এলাকার মৃত পচাই সর্দারের ছেলে আব্দুল গনি কালুর বাড়িতে হামলা চালায় পার্শ্ববর্তী মৃত.তাজেম আলী সর্দারের ছেলে আব্দুস সালাম পিন্টু ও তাদের সহযোগী। এ সময় তারা লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এ সময় মামলার বাদি আব্দুল গনি কালু বাধা দিলে পিন্টু ও তার ভাই রান্টু ঘরে বেধে রাখে। পরে কালুর ফ্লাট বাড়ি করার জন্য আলমারীতে রাখা নগদ আড়াই লাখ টাকা, দেঢ় লাখ টাকা মূল্যের আড়াই ভরি সোনা লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ঘরের টিভি ফ্রিজসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং বাদির স্ত্রী ফাতেমা তাতে বাধা দিলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সে সময় সেন্টু মামলার বাদি গনি কালুকে এবং তার স্ত্রীকে কিল ঘুষি মেরে আহত করে। এক্ষেত্রে আদালতের কাছে ন্যায় বিচারের অনুরোধ করেছেন ওই পরিবার।

বুধবার সরেজমিনে গেলে বাদির ছেলে রতনের স্ত্রী আরজিনা সিল্কসিটি নিউজকে জানান, পিন্টু স্বভাবতই নেশা করতো। লোকজন নিয়ে তাদের পাশের  বাড়িতে জুয়া,মাদকের আসর বসায়। রতন এর প্রতিবাদ করায় বাড়িতে এ হামলা চালায়।

 

গনি কালুর মা ফাতেমা বলেন, আমার ছেলের প্রাণনাশের জন্য তারা এ হামলা চালায়। আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে মারধোর করে। আর আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করে।

 

প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে পিন্টু ও তার দল। তাদের হাতে অস্ত্র-শস্ত্র থাকায় আমরা কেউ এগিয়ে আসতে পারিনি।

 

মামলার বাদি গনি কালু জানান, এ ঘটনার পর বাঘা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করতে গেলে পুলিশ কোন অভিযোগ গ্রহন করেনি। অবশেষে মঙ্গলবার  রাজশাহী আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে  বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হতো।

স/শ