বাঘায় পদ্মা নদীর ক্যানেলের উপর সেতু আছে রাস্তা নেই

আমানুল হক আমান:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গোরস্থানের রাশেদ মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীর ক্যানেলের উপর পরপর দুটি সেতু আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। এ সেতু দুটি ৪ বছর আগে নির্মান করা হয়েছে। তবে তা যাতায়াতের উপযোগী করা হয়নি। শুধু নির্মানকৃত সেতু দুটি দাঁড়িয়ে আছে। কোন কাজে আসছেনা।

জানা যায়, বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গোরস্থানের রাশেদ মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীর ক্যানেলের উপর ৪০০ গজের মধ্যে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৪০ ফুট করে একই সাথে পরপর দুটি সেতু নির্মান করেছেন। এই দুটি সেতু প্রায় ৬৬ লাখ টাকা মূল্যে নির্মান করা হয়েছে। সেতুর মুখে ও রাস্তায় মাটি না দেয়ার কারণে এই সেতু দুটি জনগনের চলাচলে কোন কাজে আসছে না।

তারপরও মানুষ সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করছে। সেতু দুটির মধ্যে একটি হলো সুলতানপুর গোরস্থানের রাশেদ মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীর ক্যানেলের উপর ও আরেকটি হলো তার ৪০০ গজ পূর্ব দিকে কড়ালি নওশারা পদ্মা নদীর ক্যানেলের উপর। ৪ বছর আগে নির্মান করা হলেও এই দুটি সেতু কোন কাজে আসছেনা চলাচলকারীদের।

উপজেলার সুলতানপুর গোরস্থানের রাশেদ মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকার কলেজ শিক্ষক আবদুল আওয়াল বলেন, আমরা এই সেতুর ওপারে কিছু জমি আছে। এই জমিগুলোর ফসল সংগ্রহ করে আনতে ডবল লেবার খরচ দিতে হচ্ছে। ৪ বছর আগে সেতু তৈরী করা হলেও রাস্তার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে আমরা কষ্ট করে শুকনো মৌসুমে এই সেতুর পাশে নিচ দিয়ে চলাচল করছি। বর্ষা মৌসুমে নৌকায় যাতায়াত করি। সেতুর মুখে ও রাস্তায় মাটি ভরাট না করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেতুর পাশে মাটি দিয়ে ভরাট দিলে এ সমস্যা আর থাকবে না।

দাদপুর এলাকার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি সবজির ব্যবসা করি। এই সেতু দিয়ে পার হওয়া যায় না। ফলে দুই কিলোমিটার পথ ছয় কিলোমিটার ঘুরে সুতলানপুর এলাকায় আসতে হয়।

কড়ালি নওশার এলাকার আজিবর রহমান, আকবর হোসেন বলেন, সেতু নির্মানের পর রাস্তা নির্মানের জন্য বিভিন্নস্থানে আবেদন করেও কোন লাভ হচ্ছে না। এছাড়া কৃষি ও গবাদি পশুপালণ নির্ভর এলাকা। চরের মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য প্রতিদিন সুলতানপুর এলাকায় যেতে হয়। ফলে সেতুর মুখে মাটি ভরাট ও রাস্তা তৈরী না করায় দূর্দশার মধ্যে দিয়ে মানুষ সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করতে হয়।

উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এর প্রকৌশলী হেকমত আলী বলেন, ইতিমধ্যে নির্মানকৃত ঠিকাদার বিল উত্তোলন করে নিয়েছে। তবে জামানতের টাকা আটকিয়ে রাখা হয়েছে। কাজ শেষ করে জামানতের টাকা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেতু দুটি প্রায় ৬৬ লাখ টাকা মূল্যে নির্মান করা হয়েছে।