বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘার পদ্মা নদীতে ১২ দিনে ১৩টি অভিযানে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা জাল ও ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জালগুলো জনস্মুখে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মাছগুলো বিভিন্ন এতিম ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ৯ অক্টোবর থেকে মা’ ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু করা হয়েছে। অভিযানে ৪৫ হাজার মিটার জাল এবং ৫০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
জানা যায়, ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরা সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘোষণাকে করে এক শ্রেনীর অসাধু জেলেরা গোপনে মাছ ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ মাছ শিকার প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা ও মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম পদ্মায় অভিযান পরিচালনা করছেন। ১২ দিনে মোট ১৩টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এরমধ্যে ৩টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪৫ হাজার রাক্ষুসে কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মাসুদ হোসেন এবং গোলাম রাব্বানী নামের দুই জেলার ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা। ৫০ কেজি মা ইলিশ উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিম খানায় দেয়া হয়েছে।
এদিকে রোববার বাঘার চকরাজাপুর পদ্মায় অভিযান শেষে উপজেলা চত্বরে এসে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধবংস করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এসএম আবুল বাসার, রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক শাহিনুর রহমান, চারঘাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, বাঘা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামসহ বিজিবি সদস্যরা।
এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, ১২ দিন পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে জাল ও ইলিশ আটক করা হয়েছে। এগুলো গরীবদের মাঝে বিতরণ ও জালগুলো জনস্মুখে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, ইলিশ দেশের সম্পদ। এটি রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। যারা সরকারের নিষেধ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিজিবি এবং পুলিশের সহায়তায় এ অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
স/অ