বাঘায় তিন বছরে একই পরিবারের ৩ জনের বিষ পানে আত্মহত্যা

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় একই পরিবারে তিন বছরের ব্যবধানে বিষ পানে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার আড়ানী নুরনগর ঘয়েরমিল গ্রামে।

জানা যায়, উপজেলার আড়ানী নুরনগর ঘয়েরমিল গ্রামে আজগর আলীর ছেলে মহিদুল ইসলামের স্ত্রী নিহারী বেগম গতকাল রোববার (৩ ডিসেম্বর) আত্মহত্যা করেছে। তার শশুর আজগর আলীর উপর রাগ করে বিষ পান করে। পরে পরিবারের লোজজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পুঠিয়া পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মৃত্যু হয়।

এর দুই বছর আগে আজগর আলীর বড় ছেলে ফরিদুল ইসলাম এবং মেজো ছেলে রেহেদুল ইসলাম তিন বছর আগে বাবা আজগর আলীর উপর অভিমান করে বিষ পানে আতœহত্যা করেছে। এছাড়া নিহারী বেগমের স্বামীও প্রায় ৬ মাস আগে বিষ পান করে। পরিবারের লোকজন তাৎক্ষনিক উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায়।

এলাকাবাসী জানান, আজগর আলীর পরিবারে সব সময় অভাব অনটন লেগেই আছে। তারা খুবই দরিদ্র। এছাড়া ছেলেরা ঠিকমতো কাজ করে না। পিতা হিসেবে একটু বকাঝকা করলেই বিষ পান করে। ফলে ইতিমধ্যেই দুই ছেলে ও এক ছেলের বউ এর মৃত্যু হয়েছে।

বাবা আজগর আলী ও মা ভানু বেগম বলেন, আমরা দরিদ্র। আমাদের কোন শত্রু নেই। ছেলেরা কাজ করেনা। আমরা যা আয় করি, সেগুলো নিয়ে খরচ করতে চায় ছেলেরা। এই টাকা দিতে না চাইলে ছেলেরা মান অভিমান করে। ফলে একটু আধটু বকাবকি করলে বিষ পান করে। তবে দুই ছেলে ও ছেলের বউ বিষ পানে আতœহত্যা করার বিষয়ে শিকার করেন তারা।

আড়ানী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক রাজ বলেন, আমার জানা মতে তারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। তবে তাদের চলাফেরা পাগল পাগল (ছুন্দি ছন্দি) ভাব। তদের এক কাজ করার কথা বললে আরেক কাজ শুরু করে। তবে তারা বুঝে কম।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হাসান রেজা বলেন, আজগর আলীর পরিবারে তিন জনের বিষ খেয়ে আতœহত্যার বিষয়ে জানা নেই। তবে এই বিষয়ে ফাইল দেখে বলা যাবে।
স/শ