বাঘায় জমে উঠছে পশুর হাট, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

বাঘা প্রতিনিধি:

কোরবানির পশু কিনতে আড়ানী পৌরসভার গোচর গ্রামের সাধারণ কৃষক কলিম উদ্দিন রুস্তমপুর হাটে আসেন। বিপুল উৎসাহ নিয়ে পুরো হাট ঘুরে গরু-ছাগল দেখে অবশেষে ৫২ হাজার টাকায় একটি গরু কিনে বাড়ি ফিরেন। কলিমসহ সাতজন মিলে গরুটি কিনেছেন। গরু দেখে বাড়ির শিশুদের চোখে মুখে ঝিলিক দিচ্ছিল আসন্ন ঈদের খুশি। তবে হাট ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন তদারকি নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা খাজনার কোন তালিকাও টানিয়ে দেয়নি। ইচ্ছে মতো খাজনা আদায় করা হচ্ছে।

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার রুস্তমপুর ও চন্ডিপুর পশুর হাট। ঈদের আর ৯দিন বাকি থাকায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। হাটে আসছে বিভিন্ন ধরনের পশু। বেচাকেনা শুরু হয়েছে পুরোদমে। বুধবার হাটে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। হাট থেকে গরু কেনা কলিম উদ্দিন জানান, বাড়িতে গরু রাখার জায়গা আছে। আর ছেলে-মেয়েরা কোরবানি কেনার জন্য আগ্রহ হয়ে উঠে। তাই কয়েক দিন আগেই সাতজন মিলে গরু কিনলাম।

নাটোরের লালপুর থেকে থেকে পাঁচটি গরু নিয়ে রুস্তমপুর হাটে আসেন আবদুল আজিজ নামের এক ব্যবসায়ী। গরুর মধ্যে সবচেয়ে বড় গরুটির দাম হেঁকেছেন দেড় লাখ টাকা। গরুটি হাটের কাউন্টারের পাশে রাখা হয়েছিল। দেখার জন্য ভিড় করেছেন হাটের লোকজন।

আবদুল আজিজ জানান, স্থানীয়রা পাঁচ থেকে সাত জনে মিলে একটি গরু কিনছে। বাইরের ব্যাপারিরা বেশিরভাগ গরু কিনে করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা ঘুরে দাম জেনে চলে যাচ্ছে। আমার বড় গরুটি কেনার ক্রেতা কম।

হাটের ব্যবসায়ী ওবায়দুল হক জানান, নিরাপত্তার জন্য হাটে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের রয়েছে নজরদারি।

হাটে গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয়কারীরা এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, হাট ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। হাট ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো খাজনা আদায় করছে। তাদের দাবি প্রশাসনের তদারকির না থাকার কারণে হাট ব্যবসায়ীরা এমন কাজ করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি। তবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিব।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হাসান জানান, হাটে নিরাপত্তা ও পুলিশি তদারকি বাড়ানো হয়েছে। জাল টাকা প্রতিরোধের বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

স/শা