বাঘায় জমি রেজিষ্ট্রি নিয়ে ককটেল নিক্ষেপ: আহত ৪

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় জমি রেজিষ্ট্রি নিয়ে ককটেল নিক্ষেপে দুই পুলিশ সদস্যসহ উপজেলা পরিষদের এক নারী কর্মচারী আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বাঘা পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ালীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার সোমবার  দুপুরে  আব্দুল আজিজ নামের এক যুবলীগ কর্মীর হয়ে অল্পমূল্যে জমি রেজিষ্ট্রি করতে চায়। এই নিয়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি স্বপন সরকারের সাথে তার বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এ সময় কবির হোসেন নামের এক যুবলীগ কর্মী উত্তেজিত হলে তাকে মারপিট করলে আহত হয়।
এদিকে কবির হোসেন আহতের খবর তাৎক্ষনিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কাউন্সিলর আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ির সামনে বাস টার্মিনাল এলাকায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল লাটি সোটা নিয়ে রেজিষ্ট্রি অফিসের দিকে ধাওয়া করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে কাউন্সিলরের লোকজন ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপের করে।
এই ঘটনায় বাঘা থানার পুলিশ কনষ্ট্রেবল মজিবুর রহমান, রয়েল হোসেন ও জরিনা বেগম নামের উপজেলা পরিষদের এক সরকারি কর্মচারী গুরুত্বর আহত হয়েছে। পরে রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স পৌর কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমান লাঠি উদ্ধার করেন।
বাঘা পৌর আওয়ালীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর আব্দুল কুদ্দুস সরকার বলেন, দলিল লেখকরা প্রত্যেক দলিলের ক্ষেত্রে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা নেয়। আমি এই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
বাঘা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি স্বপন সরকার সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, নিয়ম অনুয়ায়ী দলিল প্রতি টাকা নেওয়া হয়। অতিরিক্ত কোন টাকা নেওয়া হয় না। তবে আব্দুল কুদ্দুস সরকার রেজিষ্ট্রির খরচ না দিয়ে দলিল করতে চায়। এই নিয়ে তার লোকজন সমিতির সদস্যের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ আলী মাহামুদ সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশ সদস্য তিনজন আহত হয়েছে। আব্দুল কুদ্দুস সরকারের লোকজন দলিল লেখকদের উপরে হামলা চালালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরে আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি তল্লাশী করে বিপুল পরিমান লাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষকে ডেকেছি। এই বিষয়ে উভয় পক্ষের কাছে জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স/শ