বাঘায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলার পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড এলাকার চৌরাস্তা মোড়ে বাজুবাঘা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সজল মাহমুদ শিমুলের নের্তৃত্বে এ মানবন্ধন করা হয়।

জানা যায়, ২৬ আগস্ট কলেজ চত্বর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে উপজেলা সদরে শাহদৌলা সরকারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শামশুল ইসলামকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে বহিরাগতরা। এতে আসামি করা হয় উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদ হোসেনসহ কয়েকজনকে। জাহিদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ মানবনন্ধন করা হয়েছে। মানবনন্ধনকারীদের দাবি, জাহিদ হোসেন প্রতিবাদী ছাত্রনেতা।
আয়োজিত মানববন্ধনে বাজুবাঘা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সজল মাহমুদ শিমুল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য হেলাল উদ্দীন, সুমন আহমেদ, পৌর ছাত্রলীগের সদস্য আজমল হোসেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক বন্ধন পান্ডে, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা শবনব মোস্তারি মিষ্টি, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদের তথ্য সম্পাদক সোহাগ সেখ প্রমুখ।

এবিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের কোন নেতা কিংবা সদস্য মানববন্ধন কর্মসূচিতে ছিলেন না। এছাড়া মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির ছবি সম্বলিত ছাত্রলীগের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার কথা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে তারা আগে কিছুই জানায়নি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট কলেজ চত্বর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে উপজেলা সদরে শাহদৌলা সরকারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শামশুল ইসলামকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে বহিরাগতরা। উপজেলার দেবত্ত বিনোদপুর গ্রামের ইজদার রহমানের ছেলে শামশুল ইসলাম বাদি হয়ে কলেজ শাখার সাবেক নেতা সবুজ আহম্মেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদ হোসেন ও এলিট আহম্মেদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় মামলা করেন।

 

স/শা