বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আজমুল হোসেনকে মাদকসেবন করানোর অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ছাত্রের বাবা তাজমুল হোসেন। এতে ওই ছাত্রলীগ নেতা তাকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজমুল হোসেন উপজেলার মরকুটি কিশোরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
জানা যায়, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলী ও সহযোগি নান্টু হোসেনের বিরুদ্ধে ২৪ এপ্রিল বাঘা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন, ১৭ এপ্রিল কিশোরপুর বাজারে মানববন্ধন এবং ১৫ এপ্রিল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ছাত্রের অভিভাবক। তারপর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ছাত্রলীগ নেতা সুজন আলী ও তার সহযোগি নান্টু হোসেন। পরিবারের দাবি এ ঘটনার জের ধরে ছাত্রের বাবা তাজমুল হোসেনকে শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
আহত তাজমুল হোসেনের চাচা আবদুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, তারা আমার নাতিকে (শিশু আজমুল) বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দেড় বছর ধরে মাসে দুই থেকে তিনবার মাদকসেবন করায়। বিষয়টি প্রথমে তার পরিবারকে পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকাবাসীকে অবহিত করার পর ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করায় তারা হত্যার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলী বলেন, আজমল হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকায় চুরির বিষয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাকে ভালো করার জন্য মাঝেমধ্যে আমার মোটরসাইকেলের পেছনে করে ঘুরিয়েছিলাম। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। তাজমুলকে কে বা কারা মারপিট করেছে এ বিষয়ে আমার জানা নেই।
বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী বলেন, সুজন আলীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত চলছে।
স/শা