বাঘায় গ্রামের মধ্যে মরিচের হাট: প্রতিকেজি ২৫ টাকা

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার এক গ্রামের মধ্যে প্রতিদিন মরিচের হাট বসছে। এ হাটে কোন ক্রেতা বিক্রেতাকে খাজনা দিতে হয় না। এ হাটে শুক্রবার প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে গোচার গ্রামের মুন্টু বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। মরিচ ভাল হয়েছে। শুক্রবার দুই হাজার টাকায় দুইমণ মরিচ বিক্রি করেছি। গত বছর এসময় প্রতিকেজি মরিচ ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে।

মরিচ চাষি কলিম উদ্দীন বলেন, প্রতিকেজি মরিচ তুলে দিলে শ্রমিকদের দিতে হয় তিন টাকা। প্রতিদিন আড়ানী পৌরসভার গোচর ৪ রাস্তা মোড়ে প্রায় ১০০-১৫০ মণ মন মরিচ আমদানি হয়। গতবারের তুলনায় কম। তবে চাষিদের মরিচ বিক্রি করতে কোন অসুবিধা হয় না। বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা মরিচ কিনতে এ মোড়ে আসে।

এ বিষয়ে আরেক চাষি আকরাম আলী বলেন, এলাকার মরিচ মহিলারা বেশি তুলে। মহিলারা সংসারের কাজ সেরে মরিচ তুলার কাজে যায়। একজন মহিলা এক মৌসুমে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা আয় করে। কিন্তু এবার সেটা হবেনা। গত বারের তুলনায় কম চাষ হয়েছে।

মরিচ ব্যাপারি টিুট আহম্মেদ মন্ডল বলেন, এখানে আমরা প্রতিদিন মরিচ ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়ে দিই। আড়ানী একটি বড় হাট এহাটে যে দাম যায়, সেই দামেই মরিচ ক্রয় করি। এখানে মরিচ ক্রয় করলে কোন খাজনা বা আড়তদারী দেয়া লাগে না। এখানে গোচর, কুশাবাড়িয়া, হামিদকুড়া, জোতরঘু গ্রামের মরিচ চাষিরা বেশি বিক্রি করতে আসে।
চাষী কামাল হোসেন বলেন, এ মৌসুমে ১ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছিলাম। প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চার হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করছি। খরচ বাদ দিয়ে আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা থাকে।

হামিদকুড়া গ্রামের সোহেল রানা বলেন, প্রতিদিন গোচর গ্রামের মোড়ে ১০০-১৫০ মরিচ আমদানি হয়। চাষীদের মরিচ বিক্রি করতে কোন অসুবিধা হয় না। বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা মরিচ কিনতে এ মোড়ে আসে।

উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দিলিপ কুমার সরকার জানান, ওই এলাকা পদ্মা নদীর শাখা বড়াল নদীর ধারে হওয়ায় মরিচসহ অন্যান্য সবজি ফসল ভাল হয়। এলাকায় বৃষ্টি হলেও পানি স্থায়ী থাকে না। দুই/এক ঘন্টার মধ্যে পানি বড়াল নদীতে নেমে যায়। মরিচ চাষের জন্য উপযোগি ফলে ভাল হয়। উপজেলায় প্রায় ১১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।

স/অ