বাঘায় আ’লীগ নেতার পূত্রবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় জেবা খাতুন নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে নিজ বাড়ি বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

জেবা খাতুন বাঘা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকারের ছোট ছেলে শামিম আহাম্মেদের দ্বিতীয় স্ত্রী।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বাঘা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল কুদ্দুস সরকারের ছোট ছেলে শামিম আহাম্মেদ এক সন্তানসহ তিন বছর আগে প্রথম স্ত্রীকে ডিভোজ দেয়। পরে জেবা খাতুন নামে মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। জেবা খাতুন উপজেলার ধন্দ বোয়ালিয়া গ্রামের বাদশ আলীর মেয়ে।

শামিম সরকার জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টার সময় তার এক বছরের পুত্র আনাম সরকারকে ডাক্তাতারের কাছে নিয়ে যেতে চায়। ছেলেকে ডাক্তার দেখানো নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় স্ত্রী জেবা খাতুনকে বাদ দিয়ে ছেলেকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন তার স্ত্রী নিজ শয়ন কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে গলাই শাড়ি পেচিয়ে ঝুলছে। তাৎক্ষনিক তার আত্ম চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে লাশ নামানো হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

শামিমের চাচা মহিদুল ইসলাম সরকার জানান, ঘটনার সময় বাসায় কেউ ছিল না। বৃহস্পতিবার তার বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুস সরকার ও তার ভাবি চিকিৎসার জন্য ভারতে গেছেন। আর শামিমের বড় ভাই ব্যবসার কাজে বাইরে ছিল।

তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন, শামিম ও তার স্ত্রী জেবার মধ্যে বিভিন্ন পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিয়ে মাঝে মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো। এই কারনে এই মৃত্যুটিকে অনেকে আত্মহত্যা আবার কেউ কেউ রহস্য জনক মৃত্যু বলে দাবি করেছেন।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মাহামুদ জানান, প্রাথমিক অবস্থায় লাশ দেখে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছেনা। শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। ময়না তদন্তের রিপোট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়ের পরিবার থানায় কোন অভিযোগ করেনি।

স/অ