বাঘার আম বিশ্বে পরিচিতি করতে ব্র্যান্ডিং কম্পিটিশন প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরণ


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আম বিশ্বে পরিচিতি করতে ব্র্যান্ডিং কম্পিটিশন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিজয়ীদের মাঝে এই পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কৃষি অফিসের ব্যবস্থাপনায় বাঘার আম বিশ্বে পরিচিতি ঘটানোর জন্য ১০ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা অনুসরণ করে ৮টি শর্ত দিয়ে ১০ দিনব্যাপী কম্পিটিশন চলে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী মাসুদ রানা, রুবিনা খাতুন ও মোশারফ হোসেননের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও একটি করে স্মাট ফোন পুরুস্কার হিসেবে তুলে দেন স্থানীয় সাংসদ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বাদল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা, রেডিও বড়ালের সিইও শাহরিয়ার লিন, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান প্রমুখ।
জেলায় ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর আমবাগানের মধ্যে বাঘা উপজেলায় ৮ হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। উপজেলায় উল্লেখযোগ্যে আমের মধ্যে গোপাল ভোগ, হিমসাগার, আম্রপালি, ল্যাংড়া, তোতাপরি, ফজলি, লখনা। গত মৌসুমে এই আম রপ্তানি করা হয় ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল, ফ্রান্স, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
উল্লেখ্য, ৫০০ বছর আগে ১৫২৩-১৫২৪ খ্রিস্টাব্দে (হিজরি-৯৩০) হোসেন শাহের পুত্র নুসরাত শাহ বাঘা শাহী মসজিদ নির্মাণ করেন। এ শাহী মসজিদের শিলালিপিতে আমের টেরাকোটা অংকিত আছে; যা থেকে প্রমাণিত হয় বাঘার আমের সুখ্যাতি প্রাচীন আমল থেকে স্বীকৃত।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ইতোমধ্যে বাঘার আম দেশে পরিচিত অর্জন করেছে। এ আমের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও নিরাপদ আম উৎপাদ এবং বিশ্বে পরিচিত করতে জুন মাসে ব্র্যান্ডিং কম্পিটিশন শুরু করা হয়েছিল। গত মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩০ মে. টন আমের চালান দেয়া হয়েছিল।

স/রি