মঙ্গলবার , ২২ মে ২০১৮ | ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাঘার আম দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইংল্যান্ডসহ ৮ দেশে রপ্তানি শুরু

Paris
মে ২২, ২০১৮ ৮:২৯ অপরাহ্ণ

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আম চলতি মৌসুমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল, ফ্রান্স, রাশিয়াসহ ৮টি দেশে রপ্তানি শরু হয়েছে। হটেক্স ফাউন্ডেশন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মাধ্যমে এই আম রপ্তানির কাজ শুরু করা হয়েছে। গত তিন বছর থেকে আম রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২০ মে থেকে গাছ থেকে আম পাড়া শুরু হয়েছে। আম থেকে চলতি মৌসুমে এ উপজেলার মানুয়ের লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান ও আয় হবে ৫০০ কোটি টাকা।

বাঘায় ফজলি, খেরসাপাত, গোপালভোগ, মহনভোগ, ল্যাংড়া বিখ্যাত। এছাড়া বৌ-ভুলানি, রানি পছন্দ, জামাই খুশি, বৃন্দাবন, তুতাপরি, লোকনা, বোম্বাই, খেরসাপাত, দাউদ ভোগ, সেন্দুরি, আমরোপালি, আশ্বিনা, ব্যানানা, মল্লিকা, ক্ষুদি খেরসাপাত, কালীভোগসহ শতাধিক জাতের আম রয়েছে।

আম রপ্তানির জন্য ৫০ জন বাগান মালিককে উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করে সনদপত্র প্রদান করা হয়। এই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাষিরা কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাগানে উৎপাদিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের আম ঢাকা বিএসটিআই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টিম ইতিমধ্যেই বাগান পরিদর্শন করেন। ফলে এ উপজেলার আম তৃতীয়বারের মতো বিদেশে রপ্তানি যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

কলিগ্রামের আম চাষি আশরাফুদৌল্লা, আড়পাড়া গ্রামের মহসীন আলী সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, গতবারের ন্যায় এবারো আম রপ্তানীতে সফল হবে। ফলে চাষিদের মধ্যে আম রপ্তানীর বিষয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।

রাজশাহীর কয়েকটি উপজেলার মধ্যে আম প্রধান উপজেলা হিসেবে বাঘার আম ব্যাপক পরিচিত। প্রতি বছর আম মৌসুমে গ্রামে গ্রামে বাজার গড়ে ওঠে। ফলে বাজারে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় কাটান। ব্যবসায়ীরা চুক্তি মূল্যে বাগান কিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে আম চালান করে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বসে থাকে না। আম ফেরি করে গ্রামে গ্রামে ক্রয় করে। স্বল্প পরিসরে নিকটতম বাজারে বিক্রি করে।

উল্লেখ্য, উপজেলা প্রশাসক ২০ মে থেকে গুটি আম, ২৫ মে গোপালভোগ, ২৮ মে হিমসাগর, খেরসাপাত, লক্ষণভোগ, ১ জুন লোকনা, ল্যাংড়া, ৫ জুন ১৫ জুন ফজলী, ১ জুলাই আস্বিনা আম চাষিরা গাছ থেকে নামিয়ে ঢাকা, নরসিংদী, ভৈরব, বরিশাল, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ফেনীসহ দেশের অন্যান্য স্থানে কেনাবেচা হবে। এ আম দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা বেগম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, বাঘা উপজেলার মাটি আম চাষের জন্য উপযোগি। ফলে এই দেশে চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এছাড়া আম থেকে চলতি মৌসুমে এ উপজেলার মানুয়ের লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান ও আয় হবে ৫০০ কোটি টাকা।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, অনেক জায়গায় চাকরি করেছি, আমও খেয়েছি। কিন্তু বাঘার আমের স্বাদ ও গুণগতমান অতুলনীয়।
স/শ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর