বাঘায় ৫০০ বছরের ঐতিহাসিক ঈদ মেলা এবারও অনিশ্চিয়তায়


আমানুল হক আমান, বাঘা :
রাজশাহীর বাঘায় ৫০০ বছরের ঐতিহাসিক ঈদ নিয়ে এবারও অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাননের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে কোন কিছু বলা না হলেও মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান ঈদ মেলা হওয়া না হওয়া নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্ট্র সূত্রে জানা গেছে, ৫০০ বছর পূর্বে বাগদাদ থেকে হজরত শাহদৌলা (রাঃ) পাঁচজন সঙ্গীসহ বাঘায় এসেছিলেন ইসলাম প্রচারের জন্য। বসবাস শুরু করেন রাজশাহী শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিন কোণে পদ্মা নদীর তীরের কসবে বাঘায়। বাদশাহ নাসির উদ্দিন সে সময় তাঁর জন্য এখানে বিশাল একটি শাহী মসজিদ তৈরি করেন। মসজিদের পাশে ৫২ বিঘা জমির উপরে বিশাল দিঘি। কথিত আছে মনোবাসনা পূর্ণের জন্য মানুষ ঈদের সময় এ দিঘিতে গোসল করতে আসেন। এছাড়া অনুষ্ঠিত হয় বিশাল আকারের ঈদের জামায়াত। সেই সাথে সু-বিশাল এলাকা জুড়ে বসে ঈদ মেলা। এই মেলা এবারও হচ্ছেনা।

বাঘা ওয়াকফ্ এষ্টেটের মোতোয়ালি খন্দকার মনছুরুল ইসলাম রইশ জানান, আবদুল আব্বাসী (রঃ) বংশের হযরত শাহ্ মোয়াজ্জেম ওরফে শাহদৌলা (রহঃ) ও তার ছেলে হযরত আব্দুল হামিদ দানিশমন্দ (রহঃ) ওফাৎ দিবসে ধর্মীয় ওরস মোবারক উৎসবকে কেন্দ্র করে সাধকদের সাধনার পীঠস্থান হিসেবে ওয়াকফ এষ্টেটের এলাকা জুড়ে ৫০০ বছর যাবত ঈদুল ফিতরের দিন থেকে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ মেলা। আমি কিছু জানিনা। এই প্রতিষ্টানের সভাপতি জেলা প্রশাসক। তিনিই বলতে পারবেন মেলা হবে কি হবে না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, জেলা প্রশাসক মেলার বিষয়ে আমাকে কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি। তবে ঈদ মেলা হওয়া না হওয়া নিয়ে কোন সিদ্ধান্তও হয়নি।
উল্লেখ্য, এই মেলা সর্বশেষ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৫ দিনের জন্য ১০ শর্তে সর্বশেষ ২১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইজারা প্রদান করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের কারনে পরপর দুই বছর মেলা অনুষ্টিত হয়নি।