বাঘায় মাছের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে


বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় মাছের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। রমজানে সাধারণ মানুষ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। অনেকেই মাছ না কিনে চলে আসছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১ কেজি থেকে দেড়/দুই কেজি ওজনের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকা। কেজির নীচে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা। ২ থেকে আড়াই কেজি ওজনের কাতল বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকা। প্রতিকেজি মৃগেল ১৮০-১৯০ টাকা। ৪/৫ কেজি ওজনের সিলভার কার্প বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা। ২/৩ কেজি ওজনের পাঙাস ১৮০-২০০ টাকা। ১ কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা।

আকার ভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা। তেলাপেয়া ১৮০-১৯০ টাকা। পুকুরে চাষ করা পবদা প্রতি কেজি ৩২০-৩৪০ টাকা। আকার ভেদে শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০-৫৫০ টাকা। ছোট আকারের দেশি শৈল মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা।

মাছ ব্যবসায়ী সুফল বলেন, রমজানে প্রতিটি মানুষের খরচ বেড়ে যায়। অন্য সময়ের চেয়ে রমজানে জিনিসের দামও বাড়ে। সেই তুলনায় আয় কম। রমজান মাসে অটোভ্যান চালিয়ে প্রতিদিন উপার্জন হয় ২০০-৩০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে চাল, শাক-সবজি, তেল, লবনসহ অন্যান্য পণ্য কিনলে মাছ কেনা যায়না।
মাছ বিক্রেতা সনাতন বলেন, রোমজান শুরুর পর বাজারে মাছের দাম বাড়েনি। প্রতি হাটে ২/৩ মন ইলিশ মাছ বিক্রি করতাম। এখন ১ মন বিক্রি করতে পারছিনা। মানুষ আয়ের সাথে সংগতি রেখে মাছ কিনছে।

বাঘা শাহদৌলা মৎস্য আড়তের স্বত্তাধিকারি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাঘা বাজারে ৪টা আড়ৎ মিলে ২০০ জন খুচরা মাছ বিক্রেতা রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ১৫০ জন মাছ কিনে বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৩০০-৪০০ মণ মাছ বিক্রি হলেও বর্তমানে পরিমান কমে গেছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাহাদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় বছরে মাছের চাহিদা রয়েছে ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় ২৮০ মেট্রিক টন মাছ উদ্বৃত্ত হচ্ছে। উৎপাদন হচ্ছে ৫ হাজার ৮০ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বেশি মাছ উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশের বাজারে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।