বাঘায় মসজিদে মোবাইলে কথা বলা নিয়ে দ্বন্দ্বে মারামারিতে আহত ৩


বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় মসজিদে মোবাইলে কথা বলা নিয়ে দ্বন্দ্বে পৃথক মারামারিতে তিনজন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাজুবাঘা নতুন পাড়া জামে মসজিদে শুক্রবার তারাবির নামাজ শেষে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার (২৬ মার্চ) থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মসজিদের ভেতরে বসে মোবাইল ফোনে অন্য এক ব্যক্তি কথা বলছিল। এ কথা বলা সহ্য করতে না পেরে বাজুবাঘা নতুপাড়া গ্রামের মৃত ইনছার আলীর ছেলে সাহাবাজ আলী গালিগালাজ করে। মসজিদের ভেতরে এমনভাবে কথা বলতে নিষেধ করেন একই গ্রামের সাজেদুল ইসলাম। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে গালমন্দ হয়। মসজিদের মুসল্লিরা তাৎক্ষণিক ফয়সালা করে দেন। কিন্তু ওইদিন সাজেদুল ইসলাম ও তার ছেলে বায়োজিদ ইসলামকে সাথে নিয়ে তারাবির নামাজ পড়তে আসে। তারাবি নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন সাজেদুল ইসলাম। এ সময় সাহাবাজ আলীর নেতৃত্বে ৫-৬ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাজেদুল ইসলাম ও তার ছেলে বায়োজিদ ইসলামকে মারপিট করে।
পরের দিন শনিবার এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাহাবাজ আলীকে মারপিট করা হয়েছে। তাকেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সাজেদুল ইসলাম বলেন, আমি ও আমার ছেলে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে যাই। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর পর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে।

সাহাবাজ আলী বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। আমাকেও তারা অপমান অপদস্ত করে মারপিট করেছে। তাদের মারপিটে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছি।

এ বিষয়ে বাজুবাঘা নতুনপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, উভয়ের মধ্যে ভূলবুঝাবুঝিতে মারপিট পাল্টা মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়ভাবে সমঝোতা করার চেষ্টা চলছে।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, ঘটনার জানার পর পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এ বিষয়ে পৃথক দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।