বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙনে বাড়ি বিলিন


আমানুল হক আমান, বাঘা :
রাজশাহীর বাঘায় এক সপ্তাহে অসময়ে পদ্মার ভাঙনে ৪ ব্যক্তির বাড়ি বিলিন হয়ে গেছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১১টায় পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের নিচ পলাশি চরে সরেজমিতে এ দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়া কয়েক বছরের ব্যবধানে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নে ৫টি চর পদ্মা গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ৩টি সরকারি প্রাইমারী স্কুল স্থানান্তর করা হয়েছে। চকরাজাপুর হাইস্কুলটি ঝুকিতে রয়েছে।

জানা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে অসময়ে পদ্মার ভাঙনে নিচ পলাশি চরের ছত্তর ব্যাপারি, বাদশা আলী, সাহাদুল ইসলাম ও সুলতান আলীর বাড়ির ভিটে ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। তারা অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া গত বছরে শত শত পরিবার পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্রে চলে গেছে।

এ দিকে জমি হারিয়ে পদ্মাপাড়ে মাথা ধরে বসে আছেন কালিদাসখালী চরের সিদ্দিক ব্যপারি। তার এক সপ্তাহের ব্যাবধানে ৫ বিঘা ভূট্টার আবাদ করা জমিসহ পদ্মায় বিলিন হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

এ দিকে ভাঙনে পদ্মা গর্ভে বিলিন হয়েছে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চকরাজাপুর চর, ৭ নম্বর ওয়ার্ড়ের দাদপুর চর, ৯ নম্বর ওয়ার্ড়ের পলাশি ফতেপুর চর, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিদাসখালী চর, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চর। স্থানান্তর করা হয়েছে চকরাজাপুর ও পূর্বকালিদাসখালী এবং চৌমাদিয়া সরকারী প্রাইমারী স্কুল।

হুমকিতে রয়েছে চকরাজাপুর হাইস্কুল ও বাজার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের  চকরাজাপুর, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের  কালিদাশখালি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের  লক্ষীনগর, ১ নম্বর ওয়ার্ডের  আতারপাড়া চর, ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চর ৭৫ ভাগ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিদাশখাী ৮০ ভাগ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কালিদাশখালী চরের ৭০ ভাগ।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার দেওয়ান বলেন, গত বছরে ক্ষতিগ্রস্ত ২৫০টি পরিবারের তালিকা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। আরও ৫০ পরিবার ভাঙনের কবলে পড়েছে। বিদ্যুতের ১৫০টি পুল উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সহযোগিতায় ৪৮ পরিবারের প্রত্যেকে ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। বাঁকিদের সরকারি অনুদান দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিব।