বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। কৌশলে ইউপি সদস্যের হাতে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে ঘাতক স্বামীকে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ফাগুয়াড় দিয়াড় ইউনিয়নে নিভৃত পল্লী নামো হাটদৌলে। নিহত ওই নারীর নাম রুনা বেগম (২৫)।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, বাগাতিপাড়া উপজেলার নামো হাটদৌল গ্রামের মৃত বিসারতের ছেলে আলাল উদ্দিনের সাথে একই জেলার সিংড়া উপজেলার ডাক মন্ডপ গ্রামের আঃ করিমের মেয়ে রুনার ২০০৯ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর থেকেই যৌতুকসহ বিভিন্ন কারনে-অকারনে মারধোর করতো স্ত্রী রুনাকে। কয়েকবার পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এনিয়ে বেশ কয়েকবার শালিশ বৈঠকও হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার করলার সবজি রান্নার অপরাধে রোজাদার স্ত্রীকে চুলের মুঠি ধরে একদফা পেটায় আলাল। এ ঘটনার পর ওইদিন রাতে আবারো পিটিয়ে ও গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রুনার বাবা আঃ করিম। তবে হত্যার ঘটনাটিকে ধামা চাপা দিতে ওড়না পেঁচিয়ে রুনা আত্মহত্যা করেছে বলে ঘাতক আলাল অপপ্রচার করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম সিল্কসিটি নিউজকে জানান, ওই দিন রাত ২ টার দিকে আলাল তার বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী মারা যাওয়ার খবর দেয়। ঘটনাটি জেনে আলালকে কৌশলে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন তিনি। পরদিন আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। সেসময় আলালকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
তবে অভিযুক্ত আলাল স্ত্রীকে প্রায়ই নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় করলা রান্নার অপরাধে স্ত্রী রুনাকে মারধোর করে বাড়ির বাইরে চলে যান। রাত ১০ দিকে বাড়ি ফিরে ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলতে দেখে তাকে দ্রুত নামিয়ে কোন সাড়া না পেয়ে ভয় পান। পরে ইউপি মেম্বারের কাছে গিয়ে ঘটনা জানান। তিনি আরো বলেন, কদরের রাতে তার স্ত্রীর পবিত্র কোরআন খতম দেওয়ার কথা ছিল।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে জানান, শুক্রবার নিহতের বাবা আঃ করিম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর কারন জানা যাবে। তবে তার গলায় দাগ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
স/শ
