বাগাতিপাড়ায় পশু চিকিৎসকের চিকিৎসায় দুচোখ হারাতে বসেছে রুমি

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় একজন পল্লী পশু চিকিৎসকের চিকিৎসায় দুচোখ হারাতে বসেছে রুমি নামের এক গৃহবধূ। তিন দিন ধরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ওই গৃহবধূ। রুমি উপজেলার চকমাহাপুর গ্রামের ফরিদুলের স্ত্রী। তবে পল্লী পশু চিকিৎসক হয়েও মানব দেহে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় বিস্মিত  হয়েছেন সাধারন মানুষ।

 
ভুক্ত ভোগীর পরিবার সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৯ জুন) সকালে রুমি বাড়ির আঙ্গীনায় কাজ করতে গিয়ে হাতে খেজুর কাঁটা বিঁধলে পরিবারে লোকজন তা নিজেরাই তুলে ফেলে। কিন্তু ওই দিন সন্ধ্যার দিকে রুমির শারিরিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ায় পার্শ্ববর্তি পশু চিকিৎসক মিলনের কাছে পরামর্শ নিতে যান পরিবারের সদস্যরা। পরামর্শ না দিয়ে নিজেই চিকিৎসা দিবেন জানিয়ে রুমির বাড়িতে গিয়ে স্যালাইনসহ বিভিন্ন ঔষধ প্রয়োগ করেন মিলন। এমনটি জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।

 
এরপর মিলন বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর রাত ১০টার দিক থেকে গৃহবধূ রুমি দু চোখে কিছু দেখতে পাননা। এঘটনার পরদিন শনিবার রুমিকে প্রথমে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারা আরো জানান, পল্লী পশু চিকিৎসক মিলন একই এলাকা চকমহাপুর গ্রামের টুনিপাড়ার মজের আলীর ছেলে।

 
এ ব্যাপারে পশু চিকিৎসক মিলন মুঠোফোনে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, রোগী রুমির প্রেসার কম থাকায় ওইদিন তাকে ডিএনএ নামক স্যালাইন প্রদান করেছেন। তবে কি কারনে চোখে দেখছেন না তা তিনি বলতে পারেননি। তবে একজন পল্লী পশু চিকিৎসক হয়ে কিভাবে মানব দেহে চিকিৎসা প্রয়োগ করেন জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
স/শ