বাগমারা উপজেলা পরিষদে বখাটের হাতে স্কুলছাত্রী লাঞ্চিত

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা পরিষদের ভেতরে এক স্কুলছাত্রীকে লাঞ্চিত করেছে বখাটেরা। তাদের কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়াতে প্রকাশ্যে লাঞ্চিত করে কাগজপত্র কেড়ে নিয়েছে। এই ঘটনায় লাঞ্চিত ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের এক স্কুলছাত্রীকে তার বড়বোন সঙ্গে নিয়ে গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষিকা পদে চাকরির আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে আসেন। এসময় ওই ছাত্রীকে উপজেলা পরিষদের ভেতরে অবস্থিত শিশুপার্কে রেখে তাঁর বড়বোন সনদের ফটোকপি সত্যায়িত করার জন্য এক কর্মকর্তার দপ্তরে যান। ওই সময় ছাত্রী শিশুপার্কে বসে আবেদনপত্রের অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করছিলেন।

এ সুযোগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভবানীগঞ্জ এলাকার দুইজন বখাটে ওই ছাত্রীর কাছে গিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে এবং কুপ্রস্তাব দেয়। এতে ওই ছাত্রী সাড়া না দিলে বখাটেরা তাকে লোকজনের সামনেই শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে এবং কাছে থাকা চাকরীর আবেদনপত্রের কাগজপত্র কেড়ে নেয়। ঘটনার সময় পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরও ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে মেয়েটির বড় আসলে তাকে ভয়ভীতি দেকিয়ে বলে বেশি কথা বললে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিবে। এক পর্যায়ে লোকজন বখাটেদের নিবৃর্ত্ত করার চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যায়।

পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় ওই ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন। দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের বাইরে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের ভেতরে এরকম ঘটনা ঘটবে তা আমি ভাবতে পারিনি, এলাকায় গিয়ে কীভাবে মুখ দেখাব।’

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিউল ইসলাম লাঞ্চিত ছাত্রীর অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, দুই বখাটের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

স/আ