বাগমারায় স্কুলের মাঠ দখল করে রয়েছে সড়ক সংস্কারের উপকরণ

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ দখল করে রাখা হয়েছে রাস্তা সংস্কার কাজের উপকরণ। এতে করে যেমন নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ তেমনি বন্ধ হয়ে গেছে পাঠদান।

মঙ্গলবার সরেজমিনে উপজেলার বাইগাছা স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা,বাইগাছা নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও মচমইল টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের মাঠে রাস্তা রাখা হয়েছে সংস্কার কাজে ব্যবহৃত পাথর খোয়া,পিচ,বিটুমিন সহ বিভিন্ন প্রকার দ্রব্যাদি। পাশাপাশি কয়েকটি গাড়ি রাখায় বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যালয়ে প্রবেশের পথ।
অন্যদিকে পিচ গলানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে অব্যবহারযোগ্য সেন্ডেল। সেই সেন্ডেলের দুরগন্ধে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। সেন্ডেল পুড়ানোর সেই গন্ধ আর ধূলা বালিতে বিদ্যালয়ে থাকতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। দু’ একজন থাকলেও শ্রেণী কক্ষের দরজা বন্ধ করে নিতে হচ্ছে ক্লাস। বর্তমানে ক্লাস উপযোগী পরিবেশ না থাকার ফলে প্রতিষ্ঠানে এসেই বাড়ি চলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

সরকার বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিলেও বই নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে বাড়ি চলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের মাঠে রাস্তা সংস্কার কাজে অবৈধ ভাবে এই সকল উপকরণ রাখলেও কোন প্রকার অনুমতি নেন নি ঠিকাদার এফতার হোসেন।

জানাগেছে উপজেলার তেগাছি মোড় থেকে বারুপাড়া পর্যন্ত পাকা রাস্তার সংস্কার কাজ করতে রাখা হয়েছে এসব। অন্যদিকে মচমইল বেলতলা মোড় থেকে তেঘরিয়া মোড় পর্যন্ত।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাক, শিক্ষার্থীরা জানায় গত কয়েক দিন থেকে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার মাঠে রাখা হচ্ছে পাথর,বালি,গাড়ি, পিচসহ সংস্কার কাজে ব্যবহারের উপকরণ সমূহ।

প্রতিষ্ঠানের মাঠে রাখলেও কোন প্রকার অনুমতি নেননি ঠিকাদার। এলাকাবাসী বলেন প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির সহযোগিতায় এসব রাখা হয়েছে। শুরু হয়েছে পিচ গলানোর কাজ । সে কারণে পিচ গলানোর কাজে ব্যবহৃত সেন্ডেলের দুরগন্ধে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

এ ব্যাপারে বাইগাছা স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার সভাপতি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাছরিন আক্তার জানান, মাদ্রাসার মাঠ দখল করে রাস্তা সংস্কারের উপকরণ রাখা হয়েছে এমনটি শুনি নাই। যদি এরকম হয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন বলেন এই কাজের ঠিকাদার কোথায় এসব রেখেছে সেটা এখন আমাদের জানায়নি।

কাজটির ঠিকাদার এফতার হোসেন অসুস্থ্য থাকায় সেই কাজ দেখাশোনা করছেন তার ছেলে ডলার । প্রতিষ্ঠানের মাঠে বিনা অনুমতিতে অবৈধ ভাবে উপকরণগুলো কেন রাখা হয়েছে তা জানতে চাইলে সে বিষয়ে জানানোর পরিবর্তে তার বিরুদ্ধে কিছু করার থাকলে করার হুমকি প্রদান করেন।
স/শ