বাগমারায় বিএমডি’র সেচ নালা নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ

শামীম হোসেন, বাগমারা:
ঠিকাদারের ব্যাপক অনিয়মের মধ্যদিয়ে বাগমারার বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেচ নালার কাজ চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারের গাফলতির কারণে উপজেলার বালানগর গ্রামের একটি প্রজেক্টের ১০০ একর জমির আউস জাতের ধান রোপন অনশ্চিত হয়ে পড়েছে। এলাকার কৃষকরা অভিযোগ করলেও বাগমারার বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের লোকজন কর্ণপাত করছে না বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বালানগর ১নম্বর প্রজেক্টের ৩ লাখ দুই হাজার ৮০ ফিটের আন্ডার গ্র্রাউন্ডের একটি সেচ নালা সাড়ে তিন লাখ টাকায় টেন্ডার দেন বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এই কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রজেক্টের কৃষকদের নিকট থেকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম কর্তৃপক্ষ জমাও নেয়।

কাজটি রাজশাহীর রহমত আলী নামে এক ঠিকাদার পেলেও স্থানীয় বাগমারার মোহনপুর গ্রামের সাব ঠিকাদার আব্দুল জব্বার সেটি পরে হাতিয়ে নেন। তবে সময়মতো সেচ নালা করার কথা থাকলেও ঠিকাদারের গাফলতির কারণে গত ৩ মাস অতিবাহিত হলেও কাজটির কোনো কিনারা মিলেনি। এতে পুরাতন সেচ নালা ভেঙ্গে নতুন নালা তৈরি করতে পানি সরবাহের অব্যবস্থাপনায় গর্ত সৃষ্টিতে বেহাল অবস্থায় পড়েছে।

এছাড়া  নিম্নমানের ইট ও পুরা পাইপের কমতি মাপসহ পানির নালার আউট গ্রেটের মাপ ঠিক না রেখে কাজ করছে বলে  কৃষকরা অভিযোগ করেছেন।

কৃষকরা সিল্কসিটি নিউজকে জানান, আউস মওসুমের বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধান জৈষ্ট মাসের শেষ হতে আষাঢ় মাসের মাঝামাঝিতে রোপনের উপযুক্ত সময়। বর্তমানে আউস মওসুমের ধান হিরা, টিয়াসহ বিভিন্ন হাইব্রিড ব্যান্ডের ধান রোপনের অসময় হয়ে পড়লেও কাজ না হওয়ায় অউশ আবাদ ভেস্তে বসেছে। ঠিকাদার ইচ্ছামতো কাজ শুরু করলেও তেমন নজরদারির অভাবে কাজটি অসমাপ্ত হয়ে রোপন মওসুম শেষ হতে বসেছে বলে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন।

এদিকে কাজ শুরুর প্রথম থেকে ঠিকাদার নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে বলে কৃষকরা দাবি করেছেন। উপজেলা বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে বিষয়টি অবহিত করলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সাধারন মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমের শেষে ধান চাষ হুমকির মধ্যে পড়ে কৃষকরা দিশেহার হয়ে পড়েছেন। তারা অবিলম্বে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে কাজ তদারকি করে সরকারী নীতিমালানুসারে সত্বর ¡কাজটি শেষ করার দাবী জানিয়েছেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা জোনের বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারের অভাবে সুষ্ঠ কাজ করা যাচ্ছে না। তাঁরা অফিসকে ফাঁকি দিয়ে মনগড়া ভাবে কাজ শুরু করেছে। তাদেরকে বার বার কাজটি সুষ্ঠ মত শেষ করার  তাগিতও দেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

স/আর