বাগমারায় ফেয়ার প্রাইজ কার্ড নবায়নের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় ফেয়ার প্রাইজ কার্ড নবায়নের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বহিস্কৃত এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তিনি ফেয়ার প্রাইজ কার্ড নবায়নের নামে তার ইউনিয়নের প্রায় চার শতাধিক হতদরিদ্র ব্যক্তির কাছে থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা হারে টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় যোগীপাড়া ইউনিয়নের ভটখালি ও আশে পাশের গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক ভাতাভোগী বুধবার ঘটনার প্রতিকার ও টাকা ফেরত চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন ফেয়ার প্রাইজ ডিলার শামসুর রহমান শেখ। তিনি যোগীপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি।

ভটখালি গ্রামের হতদরিদ্র ভাতাভোগি ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, যোগীপাড়া ইউনেয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফেয়ার প্রাইজ ডিলার শামসুর রহমান শেখ তার এলাকার প্রায় সাড়ে চারশ ভাতাভোগীকে নতুন বছরের জন্য কার্ড নবায়নের অজুহাত দেখিয়ে জনপ্রতি গড়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা হারে আদায় করে চলেছেন। তিনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের কাছে থেকে ওই পরিমাণ টাকা আদায়ে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ।

ভাতাভোগী ভটখালি গ্রামের সকেজান বেওয়া (৭০), একই গ্রামের আলম প্রাং (৬৫), দুলাল হোসেন (৬৮), মমতাজ আলী (৫৫) সহ গ্রামের প্রায় ১৮/২০ জন ভাতাভোগিরা জানান, এর আগেও শামসুর রহমান তাদের কার্ড আটকিয়ে একবার ২০ টাকা এবং একবার ৩০ টাকা করে আদায় করেছেন। পরবর্তীতে তারা পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সেখানে এই ধরনের কোন টাকা আদায় করা হয়নি। পরে তারা শামসুর রহমানের কাছে টাকা ফেরত চান। কিন্তু তিনি কার্ড বাতিলসহ তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তাদেরকে মারপিটেরও হুমকি দিয়েছেন।

একই গ্রামের কার্ডধারী মোজাম্মেল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডিলার শামসুর রহমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। পরে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও চাকরি দেওয়ার নামে করে এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছে থেকে টাকা আদায় ও স্থানীয় এমপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে প্রতারনামূলক অর্থ আদায়ের জন্য তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এখন তিনি ফেয়ার প্রাইজের ডিলার হওয়ায় গ্রামের হতদরিদ্র কার্ডধারীকে একের পর এক হয়রানী করে চলেছেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ডিলার শামসুর রহমান টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যাদের কার্ড একেবারে অচল, সেখানে আর টিপ সহি দেওয়ার জায়গা নেই। ওই সমস্ত কার্ড প্রেস থেকে নতুন করে তৈরি করার জন্য ৫০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। পরে এ নিয়ে কার্ডধারীদের আপত্তি আসায় তা স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ বলেন, ওই ইউনিয়নের (যোগীপাড়া) কার্ডদারীদের একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

স/শা